শুভেন্দু অধিকারীর পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের জেলায় জেলায় তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচি নিয়ে। প্রশ্ন সেই একটাই। যে কর্মসূচি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে দলীয় ভোটের আয়োজনে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের টাকায় হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন কেন তা নিয়েই। এই একই প্রশ্ন আগেই তুলতে দেখা গিয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। আর এবার কলকাতা হাইকোর্টে শুভেন্দু অধিকারীর মামলার পর পরই সেই একই সুর শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলায়।
এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারেরও প্রশ্ন, ’ পুলিশ একটি সরকারি ব্যবস্থা। তবে একটি রাজনৈতিক দলের একজন নেতা দলীয় কর্মসূচিতে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় হাজার হাজার পুলিশ কর্মীকে নিয়ে যেভাবে প্রতিদিন ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেই পুলিশ কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচের যোগান কে দিচ্ছে? পুলিশ কর্মীদের যাতায়াতের খরচ তো জনগণের করের টাকায় হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে পুলিশের খরচ কেন সরকার বহন করবে?’ এরই পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার এও জানান, ’ আমাদের দলের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ ব্যাপারে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। বাংলার মানুষ জানতে চাইছে যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পুলিশের যাবতীয় খরচ কে বহন করছে? নিয়ম অনুযায়ী দলের পক্ষ থেকে কি পুলিশের খরচ মেটানো হয়েছে?’
প্রসঙ্গত, একটি রাজনৈতিক দলের ভোটে কীভাবে পুলিশ ব্যবহার এই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশ মোতায়েনের প্রয়োজন হলে নির্ধারিত খরচ মেটানো হোক। পঞ্চায়েতে কাকে প্রার্থী হিসাবে দেখতে চান এলাকার মানুষ, তা জানতে জায়গায় জায়গায় ভোটের আয়োজন করা হয়েছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর৷ হাইকোর্টে শুভেন্দু প্রশ্ন তুলেছেন, পুলিশ ব্যবহারের জন্য কি সরকারি খাতে টাকা জমা করেছে ওই দল? এখানে দল বলতে যে তৃণমূলকেই বুঝিয়েছেন বিরোধী দলনেতা তা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না কারও। এদিকে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে উত্তর পাননি বলেও দাবি বিরোধী দলনেতার। সেই কারণে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী। যে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ৭ জুন।