দক্ষিণের পর উত্তর, তৃণমূলের নতুন হোর্ডিংয়ে নয়া জল্পনা

কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসেই হোর্ডিং পড়েছিল দক্ষিণ কলকাতাজুড়ে। ছমাসের মধ্যে আসছে নতুন তৃণমূল। তাতে ছবি ছিল শুধুই দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।তার এক সপ্তাহের মধ্যে এবার হোর্ডিং দেখা গেল কলকাতায়।তাদের বক্তব্য, ‘পুরাতনই ভিত্তি, নতুনই ভবিষ্যৎ।’ যাতে একসঙ্গে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। সঙ্গে লেখা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে তৃণমূল কংগ্রেস ছিল, আছে, থাকবে। হোর্ডিং সরাসরি তৃণমূলের তরফে দেওয়া না হলেও প্রসঙ্গ তৃণমূল।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কলকাতার হোর্ডিংয়ে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছবি না থাকায়, আর ‘নতুন’ তৃণমূলের ডাক দেওয়া নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীরা রীতিমতো কটাক্ষের বাণ ছুঁড়ে দিয়েছিল তৃণমূলের উদ্দেশ্যে। দাবি করা হচ্ছিল, তৃণমূলে নবীন-প্রবীণের দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকাশ্যে চলে আসছে।তৃণমূলের তরফে অবশ্য কুণাল ঘোষ সেদিনই স্পষ্ট করে দেন, ওই পোস্টার দলের তরফে দেওয়া নয়। ‘আশ্রিতা ও কলরব’ নামের কোনও সংগঠন দিয়েছে। অভিষেকের কোনও সমর্থক তাঁর উদ্ধৃতি তুলে পোস্টার দিয়েছে। তাতে শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকাটাই স্বাভাবিক। সেদিনই কুণাল ঘোশ জানিয়ে দেন, তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে চলছে এবং আগামী দিনেও চলবে।এদিন কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে কুণালের সেই বক্তব্যের সূত্র ধরেই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। যাতে নবীন এবং প্রবীণ, দুপক্ষকে একসঙ্গে নিয়ে চলার স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। কুণাল ঘোষ  জানিয়েছেন, “এই পোস্টারও দলের তরফে দেওয়া হয়নি। এটি দিয়েছে সিটিজেনস ফোরাম। যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্ম করে। আমি এখনও দেখিনি। কিন্তু এটা ভাল কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে তৃণমূল ছিল, আছে এবং থাকবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − four =