হাজারো চেষ্টার পরও মৃত্যু হল শুভদীপের, ঘটনায় ভেঙে পড়লেন মদন মিত্র

হাজারো চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছেই হার মানতে হল শুভদীপকে। এসএসকেএম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় ২৪ বছরের ওই তরুণের।
দুর্ঘটনাগ্রস্থ শুভদীপকে হাসপাতালে ভর্তি না করাতে পেরে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। এরপর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ এসএসকেএম-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শুভদীপের। শুভদীপকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন মদন মিত্র। বেড না পাওয়ার পর এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরেও দিতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, সঠিক সময়ে যদি হাসপাতালে ভর্তি করা যেত শুভদীপকে, তাহলে এমন ভাবে চলে যেতে হতো শুভদীপকে কি না তা নিয়েই।
এদিকে মঙ্গলবার শুভদীপের মৃত্যুর খবরে কার্যত ভেঙে পড়েন কামারহাটির বিধায়ক। ফেসবুক হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।’ শুভদীপের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন বিধায়ক। তাঁর মৃত্যুতে এতটাই মর্মাহত মদন মিত্র এদিনের নিজের সব কর্মসূচিও বাতিল করেন তিনি।
তবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, কলকাতা মেডিক্যালে যে সময়ে শুভদীপকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। বুকের পাঁজর ভেঙে গিয়ে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুভদীপের চিকিৎসার জন্য কলকাতা মেডিক্যালে ১১ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়। শুভদীপের অবস্থায় যে মোটেই ভাল ছিল না, তার ইঙ্গিত মিলেছিল সোমবার কলকাতা মেডিক্যালের এম‌এসভিপি অঞ্জন অধিকারীর কথাতেই। বলেছিলেন, ‘এক কথায় বলতে গেলে শুভদীপ ভাল নেই। আমরা ওকে যে অবস্থায় পেয়েছি।’ সেই কথা থেকেই আশঙ্কার কথা স্পষ্ট। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল মঙ্গলবার সকালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + eleven =