এক দেশ এক রেশনের পর, এক দেশ এক উর্দির পক্ষে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

এক দেশ এক রেশনের পরে এবার এক উর্দির পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী। গোটা দেশের পুলিশ একই উর্দি পরবে! এমনই প্রস্তাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের চিন্তন শিবিরে বক্তৃতা দিতে গিয়েই এই কথা বলেছেন মোদি। তাঁর মতে, রাজ্যগুলির উপরে এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে না, বরং দেশের মধ্যে একতা বাড়িয়ে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

চিন্তন শিবিরের দ্বিতীয় দিনে নানা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মোদি বলেছেন, ‘এক দেশ এক রেশন কার্ডের মতোই সারা দেশের পুলিশের জন্য একই উর্দিও (Police Uniform) চালু করতে পারি। আমি মানছি প্রতিটি রাজ্যের আলাদা চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যগুলি চিন্তাভাবনা করতেই পারে। ভবিষ্যতে এই ভাবনা বাস্তবায়িত হতেই পারে।’ প্রসঙ্গত, সারা ভারতের পুলিশ খাকি উর্দি পরলেও নানা রাজ্যে তার রঙ পালটে যায়। তার ফলেই প্রতিটি রাজ্যের পুলিশকে আলাদা করে চেনা যায়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উদ্যোগে হরিয়ানার সুরজকুণ্ডে বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যার পোশাকি নাম দিয়েছে ‘চিন্তন শিবির’। সেই শিবিরে আমন্ত্রিতদের সামনে ভিডিয়ো-বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি এখন একটি রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কারণ অপরাধ আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক হয়ে উঠছে।’ সীমান্তপার থেকে আসা সন্ত্রাস এবং অপরাধচক্রের প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে, মোদি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার উপরেও জোর দেন।

চিন্তন শিবিরের প্রথম দিনেও একই ধরনের কথা শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলায়। তিনি বলেছিলেন, গোটা দেশে একই রকমের আইন তৈরি করা উচিত। একমাত্র এইভাবেই রাজ্যের সীমান্তগুলিতে অপরাধের প্রবণতা কমানো যাবে। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিটি রাজ্যে এনআইএর অফিস খোলারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। গোটা দেশের সকল অপরাধীর তথ্যও একই জায়গায় নথিভুক্ত করার কথা বলেছেন অমিত শাহ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে নতুন করে বিতর্কের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নিজেও ওয়াকিবহাল। শুক্রবার তাঁর বক্তৃতাতেও এক আঁচ মিলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × five =