বাংলায় রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতার অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রী, নাড্ডা ও শাহর পরে সরব মোদিও

পশ্চিমবঙ্গ-সহ কিছু রাজ্যে অসহিষ্ণুতার রাজনীতি চলছে। বিজেপি কর্মীদের উপরে সন্ত্রাস চলছে। রবিবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও তিনি ওই তালিকায় রেখেছেন তেলঙ্গানা ও কেরলের নাম।

বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলছে বলে সরব বাংলার বিজেপি নেতারা। এ বার সেটা কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখেও। দক্ষিণের হায়দরাবাদে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক হলেও বাড়তি নজর রইলে পূর্বের বাংলার দিকে। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা শনিবার উদ্বোধনী ভাষণে বাংলায় সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করেছিলেন। আর সমাপ্তী ভাষণেই সেই সুর শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। রবিবার তিনি বলেন, ‘তেলঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ, কেরলের মতো কয়েকটি রাজ্যে অসহিষ্ণুতার রাজনীতি চলছে। সাধারণ কর্মীদের উপরে আক্রমণ চলছে।’

মোদির আগে রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বক্তব্যেও উঠে আসে বাংলার প্রসঙ্গ। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে নিয়ম মাফিক একটি রাজনৈতিক প্রস্তাব পাশ করায় গেরুয়া শিবির। সেই প্রস্তাব পেশ করেন শাহ। তখনই তিনি জানিয়ে দেন, বাংলার ক্ষমতা দখলের লড়াই থেকে সরছে না দল। বলেন, ‘বিজেপি খুব তাড়াতাড়ি তেলেঙ্গানা ও পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করবে।’ সেই সঙ্গে আরও তিন রাজ্য দখলের কথাও বলেন শাহ। তিনি জানিয়েছেন কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওডিশায় ক্ষমতা দখলও বিজেপির লক্ষ্য। তেলঙ্গানাতেই বসে বৈঠক। তবে সেই রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলার নামও উঠে আসে মোদি কিংবা শাহর বক্তৃতায়। শাহ বলেন, ‘তেলঙ্গানা ও পশ্চিমবঙ্গের পারিবারিক শাসনকে হারাবে বিজেপি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন এটা খুবই আনন্দের যে গোটা দেশেই বিজেপির শক্তি বেড়েছে। দলকে আরও প্রসারিত করতে প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীদের ‘স্নেহযাত্রা’ করার পরামর্শ দেন। এর উদ্দেশ্য হল সমাজের সব সম্প্রদায়ের কাছে দলকে পৌঁছতে হবে সবাইকে কাছে টেনে নেওয়ার মনোভাব নিয়ে। রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, প্রধানমন্ত্রী ভাষণে অবিজেপি নানা দলের পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 2 =