বউদিকে ঘরের মধ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ দেওরের বিরুদ্ধে। এরপর নিজেই নিজের পেটে চাকু ঢুকিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত দেওর। শুক্রবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, ইংরেজবাজার থানার বাহান্ন বিঘা এলাকায়। সংকটজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূ ও তার দেওয়রকে ভর্তি করানো হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এবং পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূর শরীরের একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর আঘাত ছিল। পাশাপাশি আহত ওই যুবকের পেটের ডানদিকে ছুরির আঘাত রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত গৃহবধূর নাম কবিতা মণ্ডল (২৪)। পরিবারে তার স্বামী নাবালক সন্তান রয়েছে। অপর আহত যুবকের নাম সিন্টু মণ্ডল (২৮)। দু’জনেরই বাড়ি মালদা শহর থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত বাহান্ন বিঘা এলাকায়। হামলার ঘটনাটি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে জখম দুই পরিবার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এই ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। বিবাহিত ওই মহিলার সঙ্গে হয়তো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল দেওর সিন্টু মণ্ডলের। হয়তো সেই সম্পর্ক থেকে কোনওরকম বিবাদ তৈরি হয়েছে। তারই জেরে এদিন সকালে ঘরে ঢুকে ওই গৃহবধূকে এলোপাথাড়ি চাকু দিয়ে কোপায় অভিযুক্ত সিন্টু মণ্ডল। এরপর ওই গৃহবধূর আর্তচিৎকারে অভিযুক্ত এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকেরা জখম গৃহবধূকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসে। এরপর নিজের ঘরেই পেটে ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে দেওর সিন্টু মণ্ডল। পরে তাকেও পরিবারের লোকেরা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছেন। পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন , এই ঘটনা সম্পর্কে এখনই বিস্তারিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।