এ বারের আইপিএলে প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করতে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলে ১৬তম সংস্করণে ‘বিসর্জন’ কেকেআরের। বাস্তব সম্ভাবনা অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এতদিন অঙ্কে টিকে ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আরসিবির নেট রান রেট টপকে যেতে রানের নিরিখে অন্তত ১১১ রানের ব্যবধানে জিততে হত কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানা। ফলে এই অপশন ছিল না। দ্বিতীয় অপশন ছিল প্রতিপক্ষকে ১৮০ রানের মধ্যে আটকে রাখা। লখনউ সুপার জায়ান্টস মাত্র ৭২ রানে পাঁচ উইকেট হারানোয় মনে হয়েছিল, কলকাতা নাইট রাইডার্স আরও অনেক কম রানেই আটকে রাখতে পারবে। যদিও নিকোলাস পুরান-আয়ুষ বাদোনি জুটিতে ৪৭ বলে ৭৪ রান যোগ যোগ করে। নিকোলাস পুরানের বিধ্বংসী ইনিংসের সৌজন্যে কলকাতাকে ১৭৭ রানের লক্ষ্য দেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। লখনউয়ের বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্স জিতলে পয়েন্ট দাঁড়াত ১৪। একই পয়েন্টে রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। নেট রান রেটে এগিয়ে রয়েছে আরসিবি। সুতরাং, নেট রান রেটে আরসিবিকে পেরিয়ে যেতে হলে অন্তত ৪৭ বলে এই লক্ষ্য পার করতে হত কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। তারপর অপেক্ষা করতে হত আরসিবি ও মুম্বই ম্যাচদুটির জন্য। ৪৭ বলে ১৭৭ রানের লক্ষ্য পেরনো কার্যত অসম্ভব। কেকেআরের শুরুটা বিধ্বংসী হয়। শেষ ম্যাচেও কম্বিনেশনে পরিবর্তন। জেসন রয়ের সঙ্গে ওপেন করেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। শুরুটাও বিধ্বংসী হয়। তবে অভাবনীয় রান তাড়া সম্ভব করার জন্য মিরাকল প্রয়োজন ছিল। পাওয়ার প্লের শেষ মুহূর্তে ওপেনিং জুটি ভাঙল ৬১ রানে। প্লে-অফের অঙ্ক দূর অস্ত, জিতে মরসুম শেষ করাই দায় হয়ে পড়ে কলকাতার। ভরসা বলতে সেই রিঙ্কু সিং। কিন্তু শেষ ২ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ রান। রিঙ্কু রিং চেষ্টা করলেন হারের ব্যবধান কমাতে। ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ায় তাঁর কাছে আর কোনও বিকল্পও ছিল না। পুরো মরসুমেই কেকেআরের প্রাপ্তি রিঙ্কু সিং। শেষ ম্যাচেও হতাশ করলেন না। ২৭ বলে অর্ধশতরান করলেন। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২১ রান। স্ট্রাইকে বৈভব অরোরা। প্রথম বলেই রিঙ্কুকে স্ট্রাইক দেন। শেষ অবধি লখনউকে চাপে রাখলেন। মাত্র ১ রানে হার কলকাতার। রিঙ্কু অপরাজিত ৩৩ বলে ৬৭ রানে।