হরিদেবপুর, রাজাবাজারের পর ট্যাংরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু

কলকাতা:  হরিদেবপুর, রাজাবাজারের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিপদ। এবার ট্যাংরায় (Tangra) ঘটল অঘটন। মঙ্গলবার সকালে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর। এদিন সকালে আগুন ধরে যায়। নেভাতে গিয়ে দোকানের শাটারে হাত দিয়ে ফেলেন তিনি। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। শাটারটিতে বিদ্যুৎ ছিল বলে অভিযোগ। যদিও পরিবারের দাবি, দোকানের সামনে থাকা বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন ব্যবসায়ী।

মৃত ব্যবসায়ীর নাম বান্টি হালদার (৩৫) ওরফে পচা। ট্যাংরার গোবিন্দ খটিক রোডে কচুরির দোকান ছিল তাঁর। রোজকার মতো এদিন সকালেও দোকানে এসেছিলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ দোকানে কচুরি ভাজার সময় সিলিন্ডারে আগুন ধরে যায়। বান্টি এবং অন্যান্য দোকানদাররা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। সেইসময় তাড়াহুড়ো করে দোকান থেকে বেরতে গিয়ে শাটারে হাত দিয়ে ফেলেন তিনি। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পুলিশের ধারণা, কোনওভাবে শাটারটিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হয়েছিল। তাতেই বিপত্তি। স্থানীয়রা বান্টিকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

যদিও মৃতের স্ত্রীর দাবি, দোকানের সামনে দু’টি ল্যাম্পপোস্ট রয়েছে। তার মধ্যে একটিতে থাকা ফিডার বক্সে এদিন সকালে স্পার্ক বা বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। পরিস্থিতি বুঝে ওঠার আগেই সেখান থেকে দোকানের ভিতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বাঁচতে তড়িঘড়ি দোকান থেকে বের হতে গিয়ে ল্যাম্পপোস্টে হাত দিয়ে ফেলেন বান্টি। সেখানেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। বেশ কিছুক্ষণ পর বাঁশের সাহায্যে ল্যাম্পপোস্ট থেকে বান্টিকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। মৃতের স্ত্রীয়ের অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে হরিদেবপুর এবং রাজাবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় দুই কিশোরের। তারপরই শহরজুড়ে বাতিস্তম্ভ পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। এর মধ্যেই ফের দুর্ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − eleven =