হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরই কেশপুরে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সভার অনুমতি মিলল। ফলে নিঃসন্দেহে স্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ এদিন সুকান্ত মজুমদারের সভার অনুমতি দেন। কেশপুরের বিশ্বনাথপুরে বাজার কমিটির সভাপতি মধুসুদন কারক অনুমতি দিয়েও কেন শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করলেন তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলা হয় আদালতের তরফ থেকে। এদিকে সূত্রে খবর, বাজার কমিটির সভাপতি ছাড়াও আরও দুইজন লিখিতভাবে নাকি আপত্তি জানান এই সভার ব্যাপারে। এই তথ্য সামনে আসার পরই বিচারপতি মান্থা এদিনের শুনানি চলাকালীন ওই বাজার কমিটির সভাপতিকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, বাজার কমিটির সভাপতি মধুসুদন কারককে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, কেন পরে অনুমতি প্রত্যাহার করলেন তিনি সে ব্যাপারেও। আদালত সূত্রে খবর, তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেশপুরের বিশ্বনাথপুরের ভাতশালা মাঠে সভা করার জন্য গ্রামের কমিটির তরফে ১৬ এপ্রিল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রে খবর মিলছে। তবে সেই অনুমতি দেওয়ার পরেও শেষ মুহূর্তে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সোমবার পুলিশের তরফে বিজেপিকে জানানো হয়েছিল যে কেশপুর থানার পুলিশের কাছে সভাস্থল নিয়ে বেশ কিছু আপত্তি জমা পড়েছে। সেই কারণে ওই জায়গায় সভা করার অনুমতি দিতে পারছে না রাজ্য পুলিশ। এরপরই সভা করার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি শিবির।
এদিকে স্থানীয় সূত্র খবর, সোমবার পুলিশের তরফে অনুমতি না দেওয়ার পর ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস অভিযোগের আঙুল তোলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তাঁর বক্তব্য ছিল, বাজার কমিটি ও গ্রাম কমিটির থেকে অনুমতি আগেই নেওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশের তরফে চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল, এক্ষেত্রে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশিস হুদাইত জানান, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখার দায়িত্ব পুলিশের। আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাসী।’