রাজধানী দিল্লির পর এবার প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশেও দূষণের মাত্রা মারাত্মক আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। রাজ্যের মধ্যে নয়ডা এবং গাজিয়াবাদের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ।এখানে বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) ৩৫৪ এবং ৩৬৪।
বেশ কিছু জেলায় পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দূষণ ঠেকাতে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করা শুরু করেছে প্রশাসন। শহরে দূষণ পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকায় নয়ডায় সমস্ত স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। স্কুল না খোলা পর্যন্ত অনলাইনেই ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে স্কুলগুলিকে।
গাজিয়াবাদ এবং নয়ডাই নয়, বাতাসের গুণগত মান ক্রমশ খারাপ হচ্ছে মিরাট, আলিগড়, প্রয়াগরাজ, লখনউয়েও। মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির দূষণ নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিকে ভর্ৎসনা করেছে। পঞ্জাব, হরিয়ানায় দ্রুত শস্যের গোড়া পোড়ানো বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধেও। দিল্লির দূষণের জন্য প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে শস্যের গোড়া পোড়ানোই দায়ী বলে মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত। তাই কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লি সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে দ্রুত যেন সমস্যার সমাধান করা হয়।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কোথাও কোথাও। বাতাসের গতি কম থাকায় এই সমস্যা আরও বেড়েছে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, একটি নিম্নচাপ ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের উপর। তার জেরে দিল্লি-এনসিআর এবং উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে হালকা বৃষ্টি হতে পারে কোথাও কোথাও। বৃষ্টি হলে বাতাসের গুণমান কিছুটা উন্নত হতে পারে।