মালদা: কলকাতার তিলজলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার মালদার পুখুরিয়ার। দিনভর নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর খাটের তলা থেকে উদ্ধার হল লেপ মোড়ানো ছ’ বছরের মেয়ের দেহ।
সোনার গয়না হাতানোর জন্য দাদুর বাড়িতে আসা বাচ্চা মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ঘটনাটি ঘটেছে পুখুরিয়া থানার সম্বলপুর এলাকায়। সোমবার ঘটনাটি ঘটলেও গভীর রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই অভিযুক্ত প্রতিবেশী মহিলা রুমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুকন্যার নাম আসিফা আক্তার। সোমবার সকালে বাচ্চা মেয়েটি মায়ের সঙ্গে সম্বলপুর এলাকায় দাদুর বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। সকাল ১১টার পর থেকেই রহস্যজনকভাবে ওই শিশুকন্যা নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের লোকেরা খুঁজলেও তার সন্ধান মেলেনি। বিকেল গড়াতেই পাড়া প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে খোঁজাখুঁজি শুরু করা হয়। এরপরই এলাকার একটি বাড়িতে বসানো সিসি ক্যামেরা থেকে দেখা যায় প্রতিবেশী মহিলা রুমা খাতুন আসিফাকে হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হতেই অভিযুক্ত ওই মহিলার বাড়িতেই তল্লাশি চালানো শুরু করে। এরপরই খাটের তলায় লেপে মোড়ানো ওই শিশু কন্যার দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত মহিলা মারধর করে বলেও অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় অভিযুক্তের বাড়িও। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুখুরিয়া থানার পুলিশ। মৃত শিশু কন্যার পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেয়ে ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মৃত শিশুর আসিফার বাবা আধুল খালেক বলেন, ্যসোমবার আমার মেয়ে তার মায়ের সঙ্গে দাদুর বাড়ি যায়। ওইদিন সকাল ১১টার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আত্মীয় স্বজনের বাড়ি খোঁজ করা হয়। তারপর আশেপাশের বাড়ি খোঁজাখুঁজি হয়। তখনই রুমা নামের এক মহিলার বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করতে গেলে সেখানে মেয়েকে লেপচাপা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। মেয়ের গলায় এবং কানে সোনার গয়না ছিল। সেগুলোও নেই। পুলিশ প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে ওই মহিলাকে উপযুক্ত শাস্তি দিক।’
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে ওই শিশু কন্যা শরীরে থাকা সোনা-রুপোর গয়না আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে খুন করা হয়ে পারে। ওই শিশু কন্যার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মার্চে একইরকম ঘটনা ঘটেছিল কলকাতার তিলজলার একটি আবাসনে। নীচে ময়লা ফেলতে নেমে ৮ বছরের নেমে নিখোঁজ হয়ে যায়। সিসি ক্যামেরায় মেয়েটিকে আবাসনে ঢুককে দেখা যায়। বিকেলে পুলিশ আবাসনের অন্যান্য ফ্ল্যাট তল্লাশি শুরু করলে হাত, পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় প্রতিবেশীর ঘর থেকে উদ্ধার হয় দেহ।