নয়াদিল্লি: রাহুল গান্ধির ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ র সমাপ্তির দিনই ‘মহিলা মার্চ’ কর্মসূচির সূচনা হতে চলেছে। মূলত মহিলাদের একজোট করে দলে টানতেই এই কর্মসূচি কংগ্রেসের।
কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী জোড়ার লক্ষ্যে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। এবার দেশের সমস্ত রাজ্যের মহিলাদের একসূত্রে বাঁধার ডাক দিয়ে ‘মহিলা মার্চ’ শুরু করতে চলেছেন রাহুল-সহোদর। আগামী বছরই মহিলা মার্চ শুরু করবেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা। রবিবার দলের তরফে ‘মহিলা মার্চ’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল।কংগ্রেসের তরফে কেসি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, দেশের সমস্ত রাজ্যের রাজধানীগুলিতে মহিলা মার্চ হবে। রাহুল গান্ধির ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র সমাপ্তির দিনই অর্থাৎ আগামী ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ থেকে ‘মহিলা মার্চ’ কর্মসূচির সূচনা হবে। তিন মাস ব্যাপী এই কর্মসূচি শেষ হবে ২৬ মার্চ।
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়ে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ ইতিমধ্যে অনেকগুলি রাজ্য পেরিয়ে এসেছে। ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচিতে ইতিমধ্যে দেশব্যাপী বিশেষ সাড়া মিলেছে। কংগ্রেস নেতা-সমর্থক থেকে সেলিব্রিটিরাও রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-য় সামিল হয়েছেন। আর প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা রাহুলের সঙ্গে পা মেলাতে শুরু করলে এক অন্য মাত্রা পায় ভারত জোড়ো যাত্রা। তার প্রেক্ষিতেই এবার প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা মহিলা মার্চ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছেন বলে রাজনীতিকদের দাবি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করে জনগণের আরও কাছে পৌঁছতেই যে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী দাদাকে অনুসরণ করে ‘মহিলা মার্চ’ শুরু করতে চলেছেন এবং এটা মহিলাদের দলে টানার এক বিশেষ কৌশল, তা বলা বাহুল্য।