আসানসোলের পর আবার ডোমজুড়ে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি

নিজস্ব প্রতিবেদন, ডোমজুড়: আসানসলের পর এবার হাওড়া। দিনেদুপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটল হাওড়ার ডোমজুড়ে। সূত্রের খবর, দোকানের মালিক, কর্মচারীদের বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে চম্পট দেয় দুÜৃñতীরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার ডোমজুড় ব্লকের ফোকর চায়ের দোকান এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ। ওই সময় দোকানে ২ মালিক সহ কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন ডোমজুড় থানার পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরা।
হাওড়ার ডোমজুড়ে সোনার দোকানের দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় জানতে পারা যাচ্ছে, একদল ডাকাত সশস্ত্র অবস্থায় ক্রেতা সেজে দোকানে আসে। দোকানে ঢুকে তারা সোনার জিনিস দেখতে চায়। এরপরেই আচমকাই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চোখের সামনেই দোকানের সমস্ত সোনার গয়না লুঠ করে। দোকানের ২ মালিককে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুÜৃñতকারীরা। ঘটনায় আহত হয়েছেন শংকর দাস ও রাকেশ দাস নামে দু’জন ব্যক্তি।
শুধু তাই নয়, বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করা হয় তাঁর মাথায়ও। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। দোকানে কর্মরতা মহিলা কর্মচারী শ্রেয়া সামন্ত বলেন, ‘বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রথমে দু’জন ঢুকেছিল কাস্টমার সেজে। বলেছিল পেনডেন দেখাতে। এরপর আরও দু’জন আসে। আর তারপরই আক্রমণ করে আমাদের ও™র। ওদের সকলের হাতে পিস্তল ছিল। আমাদের বলছিল চুপ করে থাকতে। না হলে মেরে ফেলবে।’ গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। তবে হেলমেট পরলেও সকলের মুখ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে সিসিটিভিতে। দোকানের কর্মীদের দাবি, প্রত্যেকেই হিন্দিতে কথা বলছিল।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সহ এলাকার অন্যান্য সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তে এগোতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই ডাকাতির ঘটনায় দোকানের কেউ যুক্ত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনার আগের এই দোকানে ওই দুÜৃñতীর দল রেইকি করতে এসেছিল কিনা, তাও এলাকার সিসিটিভির মাধ্যমে খোঁজখবর করা হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। এই ঘটনার তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে আসেন রাজ্যের সিআইডি বিভাগের অধিকারিকরা। হাওড়া ডোমজুড়ে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় তদন্তে শুরু করে সিআইডি দপ্তর, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং নমুনা সংগ্রহ করে।
এই ঘটনা আবার প্রশ্ন তুলে দিল, তা হলে কি রানিগঞ্জের মতো এই ডাকাতিতেও বিহার যোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 4 =