মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে কেকেআরের পরিসংখ্যান খুব একটা সুখের নয়। বরং বলা যায়, এক পেশে লড়াই। যেখানে বেশির ভাগ জিতেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সই। এ বারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে তেমন পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছিল। এক যুগ ধরে ওয়াংখেড়েতে জয় অধরা ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। গত মরসুমে এই মাঠে ভেঙ্কটেশ আইয়ার সেঞ্চুরি করলেও হেরেছিল কেকেআর। এ দিন মাত্র ১৬৯ রানের পুঁজি নিয়েই জিতল কেকেআর। দীর্ঘ এক যুগ পর ওয়াংখেড়েতে মুম্বইকে হারানো! ভেঙ্কটেশ, মণীশ পান্ডের ব্যাটিং এবং অবশ্যই ম্যাজিক বোলিং পারফরম্যান্সেই জয়।
কলকাতা নাইট রাইডার্সই শুধু নয়, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ বার আলোচনার অন্যতম বিষয় মিচেল স্টার্ক। ২৪.৭৫ কোটিতে তাঁকে নিয়েছে কেকেআর। আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটারকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছিল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ২৪ রানের অনবদ্য জয়ে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন স্টার্ক। ভুললে চলবে না আন্দ্রে রাসেলের কথা। ইনিংসের ১৬তম ওভারে রাসেলের ফুলটসে হাই ক্যাচ ওঠে। ফিল সল্টের দুর্দান্ত জাজমেন্টে স্কাই-হাই ক্যাচে ফেরেন সূর্যকুমার যাদব।
স্কাই আউট হওয়ার পর মুম্বইয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ২৭ বলে ৫০ রান। এক দিকে টিম টেভিড অন্য দিকে জেরাল্ড কোৎজে। ডেভিডের পাওয়ার হিটিং নিয়ে সন্দেহ নেই। শট খেলতে পারেন কোৎজেও। কেকেআরের ডিসিপ্লিন বোলিং-ফিল্ডিং ভরসা দিচ্ছিল। স্লগ ওভারে নজর ছিল মিচেল স্টার্কের বোলিংয়ে। সব ঠিকই চলছিল। ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই স্টার্কের বোলিংয়ে বিশাল ছয় টিম ডেভিডের। হতাশা কেকেআর শিবিরে। পরের বলেই ফুলটস বল লং অফে ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ারের হাতে ক্যাচ। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট যে এটাই, আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পীযুষ চাওলা কিংবা জেরাল্ড কোৎজেরা ব্যাটিং করতে পারেন না, এমন নয়। তবে এই পিচে সহজ ছিল না। ডেভিডকে ফিরিয়েই থামেননি স্টার্ক। পরের ডেলিভারিতেই ইয়র্কারের চেষ্টায় লো ফুলটস। তাতেই আউট পীযুষ। ১৪৪ রানে নবম উইকেট পড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। কেকেআরের জয় শুধুই সময়ের অপেক্ষা ছিল। জসপ্রীত বুমরা স্ট্রাইক দেন কোৎজেকে। ৮ বলে ২৫ রান শেষ উইকেট জুটিতে কার্যত অসম্ভব। এত সময়ই নেননি স্টার্ক। বিষাক্ত ইয়র্কারে কোৎজের উইকেট ভেঙে দেন।