একবার হলে, সেটা অঘটন বলা যায়। বারবার হলে কখনওই নয়। এ বারের বিশ্বকাপে একের পর এক মুগ্ধকর পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছে আফগানিস্তান। অথচ মাল্টি টিম ইভেন্টে তাদের পারফরম্যান্স কোনও সময়ই মনে রাখার মতো ছিল না। ভারতের মাটিতে এ যেন নতুন আফগান স্বপ্ন। টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে। এর আগে বিশ্বকাপে দুই সংস্করণ মিলিয়ে দুটি ম্যাচ জিতেছিল আফগানিস্তান। এ বার ইতিমধ্যেই টানা দুটি জয়। গত ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও ৭ উইকেটের দাপুটে জয়।
চিপকের পর পুণে। আফগানিস্তানের ঠান্ডা মাথার ক্রিকেট নজর কাড়ার মতোই। শুরুতে ম্যাচের রাশ ছিল শ্রীলঙ্কার হাতেই। নিজেদের ভুলেই ডুবেছে তারা। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। প্রয়োজন ছিল, বড় একটা পার্টনারশিপ। অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্ক সেটাই চেষ্টা করেন। ১৩৪-২ স্কোরে ছিল শ্রীলঙ্কা। অপ্রয়োজনীয় শট খেলতে গিয়ে উইকেট উপহার দেন কুশল মেন্ডিস। সেখান থেকেই খেই হারায় শ্রীলঙ্কা ব্য়াটিং। পুরো ৫০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি। আফগানিস্তানের শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে ২৪১ রানেই অলআউট শ্রীলঙ্কা। কেরিয়ারের শততম ওডিআই ম্যাচ খেললেন রশিদ খান। তাঁকে বিশেষ স্মারক ও জার্সি দেওয়া হয় টিমের তরফে।
রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। প্রথম ওভারেই রহমানুল্লা গুরবাজকে ফেরান বাঁ হাতি পেসার দিলশান মধুশঙ্কা। ফর্মে থাকা ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ দারুণ একটি জুটি গড়ে। দ্বিতীয় স্পেলে জাদরানকে ফিরিয়ে ফের চাপ তৈরির চেষ্টা করেন মধুশঙ্কা। হাফসেঞ্চুরি করেন রহমত শাহ। দলীয় ১৩১ রানে তাঁর উইকেট হারায় আফগানিস্তান। তিন উইকেট পড়লেও আফগানিস্তান শিবিরকে কোনও চাপে দেখায়নি। জুটি গড়ার দিকেই মন দেন অধিনায়ক হসমতুল্লা শাহিদি ও অলরাউন্ডার আজমতুল্লা ওমরজাই। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্য়াচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন দু-জন।