আইপিএলের কারণেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উন্নতি করছে আফগানিস্তান, মত রশিদ খানের

আইপিএলের মতো টুর্নামেন্ট আছে বলেই আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের উন্নতি হচ্ছে, এমনটাই জানালেন সেদেশের তারকা রশিদ খান। নানা নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার কারণে বেশ কিছু বিদেশ সফরে যাওয়ার অনুমতি পায় না আফগানিস্তানের জাতীয় দল। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাও অসম্পূর্ণ থেকে যায় আফগান ক্রিকেটারদের। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ফলে সেই অভাব কিছুটা হলেও দূর হয়েছে বলে মত রশিদ খানের।
২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান। তারপরেই সেদেশে মেয়েদের ক্রিকেট খেলার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়।

তারপরেই আফগানিস্তানের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসাবে আইসিসির সদস্যপদও প্রায় বাতিল হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায় পঁচিশ জন আফগান ক্রিকেটার দেশ ছেড়ে আরব আমিরশাহিতে আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার একমাত্র উপায় আইসিসি ফিউচার টুরস প্রোগ্রাম। তবে সেখানেও অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলগুলির বিরুদ্ধেই খেলতে হয় আফগানিস্তানকে।

এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামার আগে রশিদ খান বলেছেন, “আমরা তো বড় ফরম্যাটে খেলার সুযোগ পাই না। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণও খেলোয়াড়দের হাতে নেই। আমরা আরও বেশি করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে চাই। তাহলেই আমাদের দেশের উঠতি প্রতিভারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে।” তারপরেই তারকা স্পিনার জানিয়েছেন, “আমরা নানা দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলি। সেখানে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করে অনেক কিছু শেখা যায়।”

এই লিগ গুলি খেলে যা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন আফগান খেলোয়াড়রা, তার উপরে ভর করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুতি নেন। সেই প্রসঙ্গ টেনেই রশিদ বলেছেন, “এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি আমরা। টি-টোয়েন্টি লিগগুলিতে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই জয় পেয়েছে আমাদের দল।” তবে দেশের হয়ে খেলাকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত বলে মনে করেন রশিদ। তিনি বলেছেন, “দেশের হয়ে ম্যাচ খেলার জন্য সর্বদা তৈরি থাকা দরকার। আশা করি, আগামী দিনে আমরা আরও বেশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 5 =