‘নাতিকে ভাল করে মানুষ কোরো। এতদিন নাতির প্রসাদের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।’
স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে পুরী ঘুরে এসে ফ্ল্যাটে বয়স্ক বাবা-মার দেহ পড়ে থাকতে দেথলেন ছেলে। করছিলেন। দক্ষিণ কলকাতার গড়ফার পূর্বাচল রোড এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল প্রবীণ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ। মৃতেরা হলেন সুধন্য প্রামাণিক ও তাঁর স্ত্রী সবিতা প্রামাণিক।
আত্মহত্যা বলেই এই ঘটনাকে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। বুধবারই সকালে জোড়া দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মিলেছে একটি ‘সুইসাইড নোট’। যেখানে নাতিকে মানুষ করার পরামর্শ দিয়েছেন দাদু, ঠাকুমা! তাতে লেখা রয়েছে, মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন। পাশাপাশি, ওই নোটে তাঁরা জানিয়ে গিয়েছেন, নাতির প্রসাদের জন্যেই তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন।
গড়ফার পূর্বাচল রোড এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে ছেলে, ছেলের বৌ এবং নাতির সঙ্গে থাকতেন সুধন্য ও সবিতা। বুধবার সকালে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, সুধন্যের ছেলে স্ত্রী ও তাঁদের ছেলেকে নিয়ে সম্প্রতি পুরী বেড়াতে গিয়েছিলেন। বুধবার সকালে ফিরেই দেখেন বাবা-মায়ের ঝুলন্ত দেহ। প্রবীণ দম্পতির দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাই়ড নোটও। পুলিশ সূত্রে খবর, তাতে লেখা রয়েছে, বাড়ির সব চাবি কোথায় আছে তার হদিস। নাতিকে ভাল করে মানুষ করার পরামর্শের পাশাপাশি, সেখানে লেখা রয়েছে, তাঁরা নাতির প্রসাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। নাতির প্রসাদ পেয়েছেন। তাই এ বার চলে যেতে পারেন।
স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে পুরী বেড়াতে গিয়েছিলেন দম্পতির সন্তান। কথা ছিল, নাতির পুরীর মন্দিরে পুজো দেওয়ার। প্রবীণ দম্পতি সেই পুজোর প্রসাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মা, বাবার সঙ্গে নাতিও বুধবার সকালে বাড়ি ফিরেছে। সেই থেকে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত সেই প্রসাদের কথাই সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন প্রবীণ দম্পতি। পুলিশ দেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই পরিষ্কার হবে, কী করে মৃত্যু হল দম্পতির। পারিবারিক কোনও সমস্যার জেরেই এই ঘটনা কি না, সব দিকই খতিয়ে দেখবে পুলিশ।