সামনের পঞ্চায়েত। এরপর ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দক্ষিণ ভারতে কংগ্রেসের বড় জয়ে স্বভাবতই নতুন করে অক্সিজেন পেলেন বাংলার কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। শনিবার দিকে দিকে ধরা পড়ে উচ্ছ্বাসের ছবি।এই আত্মবিশ্বাসের সুর ধরা পড়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর গলাতেও। তাঁর সাফ দাবি, দেশ থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে বিকল্প একটাই। আর সেটা কংগ্রেসই।
এদিনের কর্নাটেক জয়ের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল আগামীদিনে উঠে যাবে। বাষ্পীভূত হয়ে যাবে। মিলিয়ে নেবেন আমার কথা। হয় কংগ্রেস নয় বিজেপি, মাঝে কিছু করে লাভ নেই। বিজেপিকে সারা দেশে রুখতে গেলে কংগ্রেস দরকার। কংগ্রেস ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রতীক। ঐক্যবদ্ধ ভারত, উন্নয়নের প্রতীক কংগ্রেস, কৃষক-শ্রমিকের স্বার্থের প্রতীক। এদিক-ওদিক না তাকিয়ে বাংলার মানুষ সব কংগ্রেসে চলে আসুন। বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেস আজ অপরিহার্য।’
এদিকে জেলা থেকে শহর কর্নাটকে দলের জয়ে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসবের মেজাজ সর্বত্রই। জয়ের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্রই বিজয় উৎসবে নেমে পড়তে দেখা যায় রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভার কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যেও। ব্যান্ডপার্টির সুরের তালে তালে আবির উড়িয়ে জয়ের আনন্দ ভাগ করে নেয় কংগ্রেস কর্মীরা। রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ও অধীররঞ্জন চৌধুরীর নামে উঠতে থাকে স্লোগান। এদিকে বসিরহাটের কংগ্রেস নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। বসিরহাটের বসিরহাট এক নম্বর ব্লকের বসিরহাট-মালঞ্চ রোডের পিফা তেঁতুলতলা এলাকায় কংগ্রেস নেতারা একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে, ফুল ও মিষ্টি বিতরণ করে এবং একে অপরকে সবুজ আবির মাখিয়ে আনন্দ উৎসবে মাতেন কংগ্রেস কর্মীরা।