আবাসের তালিকায় নাম তোলার নাম করে মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ক্যানিংয়ে

ক্যানিং  : ক্যানিংয়ের একটি লজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক মহিলা। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং বাজারে এক চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তখনই মহিলাকে সেখানে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় তাঁর সঙ্গী মহসীন মোল্লা। ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের, ক্যানিংয়ের গোবরামারি গ্রামের বাসিন্দা মহসীন। ওই মহিলাকে সাথে নিয়ে এই লজের ৮ নম্বর ঘরে উঠেছিলেন শুক্রবার দুপুরে। সঠিক কী কারণে তাঁরা এখানে এসেছিলেন সে সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেননি লজ কতৃপক্ষ। তবে এলাকার মানুষের দাবি এই লজে দেহ ব্যবসা চলে। ওই যুগল ঘরে ঢোকার কিছুক্ষনের মধ্যেই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর মহসীন দ্রুত সেখান থেকে এসে বিষয়টি লজের কর্মীদের জানালে সকলে মিলে মহিলাকে উদ্ধার করেন। এরপর একটি টোটোতে চাপিয়ে তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের পরিবর্তে ক্যানিং বাজারে এক চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আই সি ক্যানিং সৌগত ঘোষ ও এসডিপিও ক্যানিং রামকুমার মন্ডল দুজনেই আসেন ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য। আপাতত ওই যুগলের ব্যবহৃত ঘরটা পুলিশের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সঠিক কী ঘটনা ঘটেছে ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ।

অন্যদিকে শনিবার সকালে এই ঘটনায় মৃতার পরিবার ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁদের দাবি আবাস যোজনার ঘরের তালিকায় নাম তুলে দেওয়ার নাম করে ওই মহিলাকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে অভিযুক্ত। বোনকে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত যুবক তাঁকে বাড়ি থেকে ক্যানিং ১ বিডিও অফিসে নিয়ে এসেছিল বলে দাবি করেন মৃতার দাদা। এরপর লজে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করেন বলে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামে ক্যানিং থানার পুলিশ। শনিবার দুপুরে নরেন্দ্রপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশান দেখে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত যুবককে। এদিকে সঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার তা জানতে দেহ শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের দাবি মহসিন স্থানীয় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। যদিও এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি তৃণমূল সমর্থক হলেও সক্রিয় কর্মী নন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + three =