মহেশ্বর চক্রবর্তী
হুগলি: মা কালী। সেই প্রাচীন কাল থেকেই কালীপুজোর সঙ্গে ডাকাতদের এক সম্পর্ক রয়ে গিয়েছে। কালীপুজো করেই ডাকাতিতে বের হত দুবৃত্তরা।
এখন সেই ডাকাত নেই, তবে কয়েকশো বছরের পুরনো কালীপুজো আছে। প্রাচীন রেতে মেনে এখনও ডাকাতি করেই পুজো শুরু হয় হুগলির খানাকুলের চক্রপুরের ডাকাতকালীর। ডাকাতি বলতে এখন নিছক ফল চুরি।
এই পুজোর বয়স লোকমুখে শোনা যায় ৩৫৭। ওই এলাকায় একসময় প্রবল প্রতাপ ছিল কালী ডাকাতেরপ। পুরো নাম কালীচরণ মাঝি। তিনি প্রথম এই কালীপুজোর প্রতিষ্ঠা করেন। তবে এখনও একশো ছাগ বলি হয়। জানা গিয়েছে চক্রপুরের ডাকাতি কালীর পাশাপাশি দু’টি প্রতিমার পুজো হয়। কালী পুজোর দিন রাতে কালী ডাকাতের বংশধরের প্রথম মায়ের ঘট উত্তোলন করেন। তারপর পুরোহিত ঠাকুর আর একটি ঘট উত্তোলন করেন। দুটি ঘট মা কালীর পায়ের নীচে বসিয়ে পুজোপাঠ হয়। কালী ডাকাতের বংশধরেরা বর্তমানে এই মা কালীর পুজোর আয়োজন করেন।
এই বিষয়ে একজন বংশধর বলেন, প্রথা মেনে এই বছরও পুজো হবে। রাতের অন্ধকারে ফল চুরি করে মায়ের পায়ে নিবেদন করা হবে। ডাকাতি প্রথা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে অনিমেষ পণ্ডিত বলেন, আমাদের পুর্বপুরুষ এই কালী পুজোর সূচনা করেন।
জানা গিয়েছে, এই ডাকাতি কালী পুজোকে কেন্দ্র করে ২০০ বছর আগে প্রথম মেলা বসে। এখনও সেই চল বজায় আছে।