যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতারের তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েই চলেছে। এদিকে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের নজরে রয়েছেন আরও অনেকেই। বলে রাখা শ্রেয়, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ১৩ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়া।
এদিকে আবার এই তদন্তের মধ্যেই এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক আচরণ খবর নজরে এসেছে। আর এই অস্বাভাবিক আচরণের কারণে মেইন হস্টেলের আবাসিক ওই পড়ুয়াকে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে কাউন্সেলিংয়ের জন্য।
সূত্রে খবর, রবিবার মেইন হস্টেল পরিদর্শনে যান অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তখনই ওই পড়ুয়াকে আতঙ্কিত দেখায়। সূত্রের খবর, পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করতেই অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন তিনি। রবিবার রাথ থেকেই মানসিক অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায় তাঁর মধ্যে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পড়ুয়ার ফোনের মধ্যে কী কী রয়েছে বা কার-কার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে, হোয়াটস-অ্যাপ চ্যাটে কী রয়েছে, কার সঙ্গেই বা কথা বলেছেন সেই সমস্থ বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে সোমবার যাদবপুরের ঘটনায় ডিন অফ স্টুডেন্টকে তলব করে মানবাধিকার কমিশন। সূত্রে খবর মিলছে, ঘটনার দিন কী হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ স্টেটমেন্ট নিতে তলব করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। এরপর কলকাতা পুলিশের আধিকারিকেরা তদন্তে নামে। পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও। এই কমিটিই র্যাগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই প্রথম বর্ষের ছাত্রের বলে সিলমোহরও দেয়।