অভিষেক-রাহুলের অনবদ্য হাফসেঞ্চুরি, দিল্লির দাপুটে জয়

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ মরসুমে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ২-০ ব্যবধানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটালস। কোনও ফুটবল ম্যাচের স্কোর নয়। আসলে এটি দুই লেগের ফলাফল। পরস্পরের বিরুদ্ধে এ বারের আইপিএল অভিযান শুরু করেছিল দিল্লি ও লখনউ। প্রথম লেগের ম্যাচে খাদের কিনারায় ছিল দিল্লি ক্য়াপিটালস। শেষ দিকে অবিশ্বাস্য একটা ইনিংস খেলেছিলেন আশুতোষ শর্মা। ফিরতি লেগের ম্যাচে রাহুল ও বাংলার দুই প্লেয়ারের দাপট। একানা স্টেডিয়ামে লখনউকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটালস।

আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। পরপর জিতেছিল তারা। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেও দুর্দান্ত শুরু। ক্যাপিটালস যেই কামব্য়াক করে, আর পিছপা হয়নি। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্য়াপ্টেন অক্ষর প্যাটেল। যদিও মিচেল মার্শ ও এইডেন মার্কব়্যাম জুটি প্রবল চাপে রেখেছিল তাঁকে। ৮৭ রানে জুটি ভাঙেন দিল্লির জার্সিতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা দুষ্মন্ত চামিরা। তিনে নামা নিকোলাস পুরানকে ফেরান মিচেল স্টার্ক।

মিডল ওভারে মুকেশ কুমারের দাপট। একই ওভারে ফেরান আব্দুল সামাদ ও সেট ব্যাটার মিচেল মার্শকে। ব্যাটিংয়ে ফের ইমপ্যাক্ট হিসেবে নামাতে হয় আয়ুষ বাদোনিকে। তাঁর ২১ বলে ৩৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৫৯ স্কোরে পৌঁছয় লখনউ। দিল্লির বোলারদের মধ্যে বাংলার পেসার মুকেশ কুমার ৪ উইকেট নেন।

রান তাড়ায় ও বাংলার দাপট। করুণ নায়ারের ইনিংস দীর্ঘ স্থায়ী হয়নি। তবে এ মরসুমে দিল্লির সবচেয়ে ধারাবাহিক তরুণ ব্যাটার অভিষেক পোড়েল আরও একটা অনবদ্য ইনিংস খেলেন। করুণের আউটে ক্রিজে যোগ দিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। উল্টোদিকে অভিজ্ঞ রাহুল ইনিংস অ্যাঙ্কর করেন। অভিষেক স্কোরবোর্ড সচল রাখছিলেন। এ মরসুমে বেশ কিছু ভালো ইনিংস খেললেও অবশেষে হাফসেঞ্চুরি এল অভিষেকের ব্য়াটে। তিনি ফিরতেই রাহুল গিয়ার শিফ্ট করেন। ক্যাপ্টেন অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।

লখনউয়ের দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্য ১৩ বল বাকি থাকতেই পেরিয়ে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। লোকেশ রাহুল ৪২ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত। অন্যদিকে, অক্ষর প্যাটেল ২০ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × five =