১০০ দিনের বঞ্চিতদের নিজের বেতন থেকে টাকা দিলেন অভিষেক

একদিকে যখন অমিত শাহের সভার প্রস্তুতি চলছে বঙ্গ স্যাফ্রন ব্রিগেডে ঠিক তখনই নয়া পদক্ষেপ শাসক দল শিবিরে। ৩০ নভেম্বরের ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই জব কার্ড হোল্ডারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গেল অভিষেকের চিঠি। নিজের বেতনের টাকা থেকে আর্থিক সাহায্যও করলেন তিনি। সোমবার ৩ হাজার বঞ্চিতর কাছে পৌঁছে গেল অভিষেকের চিঠি ও আর্থিক সাহায্য। বোঝালেন, কথা দেওয়া মানে কথা রাখা। কোনও পরিস্থিতিতে এর অন্যথা হবে না। সেইসঙ্গে অভিষেকের বার্তা, লড়াইয়ে থাকুন।

কেন্দ্র টাকা আটকে রাখলে নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে সাহায্য করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। ৩০ নভেম্বরের মধ্য়ে সেই টাকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে তার আগেই পৌঁছে গেল এই আর্থিক সাহায্য। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লি গিয়ে আন্দোলন করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন বহু জব কার্ড হোল্ডার। মূলত তাঁদেরকেই চিহ্নিত করে টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।  তৃণমূলের তরফে এও জানানো হয়েছে, আগামীদিনে কোন পথে আন্দোলন এগোবে, তা উল্লেখ করেই চিঠি দিয়েছেন অভিষেক। আর অভিষেকের এই পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট, কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করেছি ২ বছর ধরে। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাব, অন্তত এই আড়াই হাজার লোকের ২ বছরের পারিশ্রমিকের টাকা দিয়ে দিক রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার দিতে না পারলে দলের তরফ থেকে বিধায়ক ও সাংসদরা এক মাসের বেতনের টাকা দিয়ে ধাপে ধাপে বকেয়া মেটাব।’ ২ মাসের মধ্যে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওই সব শ্রমিকদের বাড়িতে অভিষেকের চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে চিঠি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘এইভাবে টাকা দিয়ে ভারতের রাজনীতিতে একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন অভিষেক। এই ঘটনা থেকে মানুষ বুঝবে তৃণমূল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না।’ এ নিয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘বকেয়া নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। রাজঘাটে অবস্থান হয়েছে। বঞ্চিতদের ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাসে কষ্ট করে গিয়েছেন। তখন অভিষেক বলেছিলেন, প্রাপ্য আদায়ের লড়াই চলবে। আর যাঁরা দিল্লি গিয়েছেন, তাঁদের সাহায্য করা হবে। অভিষেক কথা রাখছেন।’ এদিকে, বিরোধী শিবিরের সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের দাবি, এই চিঠি থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে গত কয়েক বছরে তৃণমূলের কোনও সাংসদ লোকসভায় ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে সরব হননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =