বারবার সাকেত গোখলের গ্রেপ্তারের ঘটনায় এবার সরব তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুক্রবার ট্যুইট করে লেখেন, ‘নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পন করেছে। বিজেপির দলদাস হিসেবে কাজ করছে। দেশের গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছে।’ দলের জাতীয় মুখপাত্রকে ফের একবার হেনস্থার অভিযোগ তুলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক একইসঙ্গে জানান, ‘গুজরাত পুলিশ তিনদিনের ব্যবধানে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সাকেত গোখলেকে গ্রেপ্তার করল। এখনও সেখানে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অজুহাত দেওয়া হচ্ছে।’ একজন সত্যি কথাটা বলায় গ্রেপ্তার হলেন। সাকেত গোখলের এই গ্রেপ্তারি নিয়ে এভাবেই সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির। শুধু তাই নয়, গোটা বিষয়টি নিয়ে জোরদার লড়াইয়ের ডাকও দেওযা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই গুজরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। পাঁচ সদস্যের সেই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন দোলা সেন, খলিলুর রহমান, শান্তনু সেন, সুনীল মণ্ডল এবং অশিত মাল। তাঁরা গুজরাতের মোরবিতে যাবেন। এদিকে মোরবি সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকেও সাকেত গোখলের এই গ্রেপ্তারি নিয়ে নিন্দা জানানো হয়। দলের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই ঘটনার প্রক্ষিতে লেখা হয়, ‘সমস্ত স্বৈরাচারী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। সত্যি কথা বলার অপরাধে আমাদের দলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে মূল্য চোকাতে হচ্ছে।’ একইসঙ্গে দলের তরফ থেকে এও জানানো হয়, আহমেদাবাদ হাই কোর্টেও এই গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করবে তৃণমূল কংগ্রেস।