সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোর কদমে। আর ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সব থেকে বড় হাতিয়ার হল বঙ্গের মানুষেরা বঞ্চনা। আর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই বঞ্চনার একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে এবার দিল্লি যেতে চান তৃণমূল শিবিরের সেকেন্ড-ইন- কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর এই কর্মসূচির কথা। বলেছিলেন আমজনতার কাছ থেকে বঞ্চনার অভিযোগে বাংলা থেকে কোটি মানুষের সই সংগ্রহ করে তিনি পৌঁছাবেন কেন্দ্রীয় সরকারের দরবারে। আর এই সই সংগ্রহের অভিযান শুরু হচ্ছে এপ্রিল থেকেই এমনটাই খবর তৃণমূ শিবির সূত্রে। পাশাপাশি এও জানা গেছে এই সই সংগ্রহের কাজ শুরু হবে উত্তরবঙ্গ থেকে।
প্রসঙ্গত, ১৬ এপ্রিল থেকেই এই সই সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে। কারণ, অভিষেকের ঘোষণা ১ কোটি সই সম্বলিত চিঠি নিয়ে তিনি দিল্লি যাবেন। তাতেও কাজ না হলে প্রয়োজনে দিল্লিতে ধরনা দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক।
এদিকে পঞ্চায়েতের লক্ষ্যে ম্যারাথন জেলা সফরও শুরু করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উত্তরবঙ্গ থেকেই শুরু হবে এই সফর। একের পর এক জেলায় সভা করবেন তিনি। তৃণমূলের তরফ থেকে যা জানা যাচ্ছে তাতে আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত কোচবিহারে থাকবেন অভিষেক। সেখানেই ক্যাম্প করে চিঠি সংগ্রহ করা হবে।
পাশাপাশি তৃণমূলের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, ২৪ এপ্রিল হেলিকপ্টারে চেপে কোচবিহারে পৌঁছবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমেই পুজো দেবেন মদন মোহন মন্দিরে। এরপর দিনহাটায় যাবেন অভিষেক। দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ সহ কোচবিহার জেলার ১৮৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতি যুব, মহিলাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন অভিষেক।
এরপর একটি মাঠে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য নির্দিষ্ট ক্যাম্প করা হবে। সেখানে অভিষেক ১০০ দিনের কাজ সহ নানা বিষয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সই সংগ্রহ করবেন। সঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকা নিয়েও প্রাথমিকভাবে আলোচনা করবেন অভিষেক।
একানে বলে রাখা শ্রেয়, সম্প্রতি কলকাতাতেও কেন্দ্রের এই বঞ্চনার ইস্যুতেই ধরনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ১০০ দিনের টাকা আটকে রাখা হয়েছে, বিভিন্ন খাতে রাজ্যকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রকের দ্বারস্থও হয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব।