কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ তিনি নিজাম প্যালেসে হাজির হন। তার আগে সিবিআই-কে যে চিঠি পাঠান অভিষেক তাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। চিঠিতে এও জানানো হয়, কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যাচ্ছেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায় ছিল, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই বা ইডি। পাশাপাশি, তাঁকে ২৫ লক্ষ জরিমানা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই তিনি সুপ্রিম কোর্টে লিভ পিটিশন করছেন বলে উল্লেখ করেন চিঠিতে।
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশের পরই সিবিআই নোটিস দেয় অভিষেককে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজিরার কথা বলা হয় তাঁকে। শুক্রবার সেই নোটিস পেয়েই রাতে কলকাতায় ফেরেন সাংসদ।
এদিকে সূত্রে খবর, সিবিআই আধিকারিক অফিসার সঞ্জয় কুমার সামাল-কে যে চিঠি লেখেন অভিষেক তাতে চিঠির শুরুতেই তিনি লেখেন, ‘আমাকে হাজিরা দেওয়ার জন্য একদিনেরও কম সময় দেওয়া হয়েছে, যা দেখে আমি বিস্মিত। আপনারা জানেন রাজ্য জুড়ে ২ মাসের একটি কর্মসূচি চলছে। তা সত্ত্বেও আমি তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করব।’
আর এই চিঠির শেষ অংশেই তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে লিভ পিটিশন করছেন তিনি। ২২ মে তারিখে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেন অভিষেক।
প্রসঙ্গত, কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নির্দেশ ছিল, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আগেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক। তবে সেখান থেকে মামলা ফিরে আসে হাইকোর্টে। যদিও শীর্ষ আদালতের নির্দেশে হয় মামলার বেঞ্চ পরিবর্তন। বিচারপতি অমৃতা সিনহাও একই নির্দেশ বহাল রাখেন। এরপর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন অভিষেক। তবে শুক্রবার সেই আবেদন শুনকে রাজি হয়নি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।