‘বিকল্প ব্যবস্থা করেই দিল্লি যাব’, কেন্দ্রের উদ্দেশে হুঙ্কার অভিষেকের

তৃণমূলের আবেদনে সাড়া দেয়নি রেল। যাত্রা শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে ই-মেল করে তৃণমূলের দিল্লি যাত্রার বিশেষ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে রেলের তরফ থেকে। অগ্রিম নিয়েও যাত্রা শুরুর ঠিক আগে ট্রেন বাতিলে তৃণমূলের দিল্লি অভিযানে বড়সড় ধাক্কা তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

রেলের তরফ থেকে এমন কথা জানার পরই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সদর্পে ঘোষণা করেন, ‘দিল্লি অভিযান হবেই। ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখান। আগামী দুদিন-এর মধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা করে বঞ্চিত জব কার্ড হোল্ডারদের দিল্লি নিয়ে যাবই। আপনাদের আশায় আমরা বসে নেই।’ রেলের তরফ থেকে পাওয়া এই ই- মেল প্রসঙ্গে   অভিষেকের সাফ প্রশ্ন, ‘দুর্নীতি হয়ে থাকলে আপনি ব্যবস্থা নিন। আপনি ট্রেন ক্যানসেল করছেন কেন? আপনার এত ভয় কিসের?’  একইসঙ্গে মোদি সরকারকে আক্রমণ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এরা বাংলার মানুষকে ভয় পাচ্ছে। এই ভয়টা আমি উপভোগ করছি। আড়াই মাস আগে থেকে ঘোষণা করা কর্মসূচি। ট্রেনের জন্য পদ্ধতি মেনে আবেদন করে টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল। এখন বলছে তৃণমূল আবেদন করেনি।’ এই প্রসঙ্গে অভিষেক এও জানান, ‘আমরা ২৩ সেপ্টেম্বর আবেদন করেছি। আগে মৌখিকভাবে কথা হয়েছিল, পরে চিঠিও দিয়েছি, টাকাও জমা দিয়েছি। সিকিউরিটি ডিপোজিটও রেল জমা নিয়েছে। আইআরসিটিসির চিঠিও আছে। ২০টা বগির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হল। ৩০ তারিখ ট্রেনটার রওনা দেওয়ার কথা ছিল, ২৯ তারিখ বিকালবেলা ই-মেল করে জানাচ্ছে আমরা ট্রেন দিতে পারব না।’ এরই রেশ ধরে অভিষেকের প্রশ্ন, ‘আবেদন যদি না করা হয় তাহলে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে মেল এল কেন? প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন অন্তরই সবুজ ঝান্ডা নাড়িয়ে ট্রেন উদ্বোধন করছেন, আর ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড হোল্ডার, গরিব মানুষদের জন্য ট্রেন বাতিল করছেন। বাংলার মানুষকে ভয় পেয়ে এই কর্মসূচি আটকাতেই এই সব করছে। কিন্তু এখানে আসা সমস্ত জব কার্ড হোল্ডারদের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা করবে তৃণমূল। এটা বাংলার মানুষের লড়াই। গরিব মানুষের ছাদের টাকা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হয়েছে। বাংলার মানুষেক টাকা ছিনিয়ে আনবই।’ সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘এই লড়াই চলবে। একে আটকানোর মতো ক্ষমতা কারও নেই। এটা মানুষের লড়াই। এটা তৃণমূলের লড়াই নয়, ভোটের লড়াই নয়, এটা অধিকারের লড়াই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − eight =