ইংল্যান্ড সিনিয়র দলের আগেই ভারত সফরে এসেছিল এ দল। যা ইংল্যান্ড লায়ন্স নামেই পরিচিত। ভারত সফর সুখকর হল না অ্যালেক্স লিস, কিটন জেনিংসদের। সিনিয়র দল ভারতের বিরুদ্ধে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে। তবে অভিমন্যু ঈশ্বরণের নেতৃত্বাধীন ভারত এ দলের কাছে ২-০ হার ইংল্যান্ড লায়ন্সদের। তৃতীয় বেসরকারি টেস্টে ১৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতল ভারত। এই সিরিজে নজর ছিল রিঙ্কু সিংয়ের দিকে।
ভারত এ বনাম ইংল্যান্ড লায়ন্সের চার দিনের ম্যাচ। তিনটি ম্যাচই হল আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। প্রথম ম্যাচে দু-দলের ব্যাটারদের দাপট। ম্যাচটি অমীমাংসিতই থাকে। বাকি দু-ম্যাচে বড় জয় ভারতের। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড এ দলকে ইনিংস ও ১৬ রানে হারিয়েছিল ভারত। জাতীয় দলের হয়ে একের পর দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন রিঙ্কু সিং। তাঁকে খুব তাড়াতাড়ি টেস্ট স্কোয়াডে দেখা যাবে বলে মনে করা হয়েছিল। যদিও ভারত এ দলের হয়ে লাল-বলের এই তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা দেখাতে ব্যর্থ রিঙ্কু। শেষ ইনিংসে অবশ্য বিধ্বংসী ব্যাটিং করলেন।
তৃতীয় বেসরকারি টেস্ট এবং সিরিজ শেষ হল এ দিন। আমেদাবাদে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯২ রান করে ভারত এ। হাফসেঞ্চুরি দেবদত্ত পাডিকাল ও সারাংশ জৈনের। ম্যাথিউ পটস ৬ উইকেট নেন। এ ছাড়াও ব্রাইডন কার্স নেন ৪ উইকেট। বাংলার বোলাররাও দাপট দেখান। ইংল্যান্ড এ দলকে মাত্র ১৯৯ রানেই অলআউট করে। বাংলার পেসার আকাশ দীপ ৪ উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে দাপুটে ব্যাটিং ভারতের। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ ২২ রান করেন। আর এক ওপেনার সাই সুদর্শনের সেঞ্চুরি। ১১৭ রান করেন তিনি। রিঙ্কু সিং মাত্র ২৫ বলে ৩৮ রান করেন। তিলক ভার্মা ৪৬ এবং সারাংশ জৈন হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন। লোয়ার অর্ডারে আকাশ দীপের ৩১ রানের অবদান ভোলার নয়। ৪০৯ রান করে ভারত।
ইংল্যান্ড এ দলের কাছে সিরিজ হার বাঁচানোর লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০৩ রান! অ্যালেক্স লিস হাফসেঞ্চুরি করেন। শেষ দিকে ব্যাট হাতে দাপট ওলি রবিনসনেরও। যদিও ভারতীয় বোলারদের দাপটে ২৬৮ রানেই শেষ ইংল্যান্ড এ। ৫ উইকেট নেন শামস মুলানি।