ঘুষের অভিযোগ আনলেন আম-আদমি পার্টির বিধায়ক মহিন্দর গোয়েল। দিল্লিতে বিধানসভার অন্দরে গোছা গোছা নোট হাতে এই অভিযোগ সামনে আনেন দিল্লি বিধানসভায় শাসকদলের বিধায়ক। আর তা নিয়ে উত্তাল হয় বিধানসভা। আর এই ঘটনাতে আম আদমি পার্টির নিশানায় মূলত উপরাজ্যপাল এবং দিল্লি পুলিশ। আম আদমি পার্টির বিধায়ক মহিন্দর গোয়েল নোটের বান্ডিল তুলে ধরে অভিযোগ জানান, রোহিনীর বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে নার্সিং বিভাগে নিয়োগে দুর্নীতি চলছে। নিয়ম অনুসারে হাসপাতালে ৪০ শতাংশ পুরনো কর্মীকে কাজে রাখা উচিত। সেই নিয়ম মানা হয়নি। কর্মীদের থেকে টাকা তোলা হয় বলেও এদিন অভিযোগ জানান তিনি। কেজরিওয়ালের দলের ওই বিধায়কের দাবি , পুলিশকে জানিয়ে দুর্নীতি ধরতে ফাঁদ পাতেন তিনি। তখনই ঘুষ হিসেবে তাঁকে এই টাকা দেয় ঠিকাদাররা।
এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই উত্তাল হয় দিল্লি বিধানসভা। আম আদমি পার্টির বিধায়ক মহিন্দর গোয়েলের আরও অভিযোগ, ‘হাসপাতালে কাজ পাওয়ার পরেও কর্মীরা পুরো টাকা পান না। ঠিকাদাররা নিয়মিত তাঁদের থেকে টাকা তোলে। প্রতিবাদে শ্রমিকরা হাসপাতালে বিক্ষোভে বসলে তাঁদের মারধর করা হয়।‘ আর এই প্রসঙ্গেই মহিন্দর গোয়েলের দাবি, এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে তিনি দিল্লির উপরাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশের দৃষ্টিআকর্ষণ করেন। তবে, অভিযুক্ত ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ এই আপ বিধায়কের।
একইসঙ্গে আপের এই বিদায়ক এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেন, ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে যাওয়ায় তাঁকে প্রাণেও মেরে ফেলা হতে পারে। তাঁর দাবি, দুর্নীতি রুখতে সচেষ্ট হওয়ার পর ঠিকাদাররা তাঁকেও দলে টানার চেষ্টা করে। বিধায়কের দাবি, দুর্নীতির গভীরে পৌঁছতে অভিযুক্তদের সঙ্গে ‘সেটিং’ করেন তিনি। অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরার জন্য পুলিশকেও জানান। মহিন্দর গোয়েলের অভিযোগ তাঁকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়া হবে জানানোর পরও ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেননি। এদিকে গত কয়েক দিন ধরেই উপরাজ্যপাল-কেজরি সংঘাত চরমে উঠছে দিল্লিতে। তাঁর মধ্যেই নতুন এই অভিযোগ আম আদমি পার্টির।
এদিকে আবার যমুনা দূষণ নিয়ে বিধানসভায় কেজরিওয়াল সরকারের বিরুদ্ধে পালটা বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখালে পদ্মশিবিরের দুই বিধায়ককে মার্শাল ডেকে বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ। ওয়াক আউট করে বিধানসভা কক্ষের বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা।