বিজেপির অপারেশন লোটাস মুখ থুবড়ে পড়েছে, এই কথা প্রমাণ করার জন্য নিজেই আস্থা ভোট ডেকেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। বৃহস্পতিবার দিল্লি বিধানসভায় সহজেই আস্থা ভোটে জয় পেলেন কেজরি। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরে গুজরাতে আপের ভোটের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। যদি দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার হন, তাহলে গুজরাতে আরও বেশি ভোট পাবে আপ। ফলে বিনা বাধায় সরকার গড়ে ফেলতে পারবে আম আদমি পার্টি।
কোনও বিধায়কই এদিন আস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেননি। কারণ, আস্থা ভোটের সময় বিধানসভায় ছিলেন না বিজেপি বিধায়করা। তিন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে বাকি বিজেপি বিধায়করাও বিধানসভা কক্ষ ত্যাগ করেন।
HISTORIC!
Delhi Vidhan Sabha passes 'Motion of Confidence' moved by CM @ArvindKejriwal through voice vote as well as division of votes.
0 MLAs votes against it
BJP's ‘Operation Lotus’ has FAILED miserably infront of Kattar Imaandaar AAP 🇮🇳 pic.twitter.com/xX4LqMOUfp
— AAP (@AamAadmiParty) September 1, 2022
বলা যায়, বিজেপির বিরুদ্ধে যাবতীয় ‘চক্রান্তে’র অভিযোগের মধ্যেই দিল্লি বিধানসভায় শক্তি প্রদর্শনে সফল হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় আস্থাভোটে আপের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন ৫৮ জন বিধায়ক। কেজরির দলের বিধায়ক সংখ্যা ৬২। বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছেন আট জন।
আপ সরকারকে ভাঙার জন্য বিজেপি প্রায় ৮০০ কোটি টাকা নিয়ে নেমেছিল বলে অভিযোগ করেছেন কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, দিল্লিতে ‘অপারেশন লোটাস’ ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর এক জন বিধায়ককেও বিজেপি তাদের শিবিরে নিতে পারেননি বলেও দাবি করেন তিনি। দলের বিধায়করা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। এটা প্রমাণ করতেই বিধানসভায় আস্থাভোটের ডাক দেন।
এই প্রসঙ্গে টুইটারে লিখেছিলেন, ‘আমার কাছে বিজেপির বার্তা এসেছে— আপ ভেঙে বিজেপিতে যোগ দিন, সিবিআই-ইডির সব মামলা বন্ধ করে দেওয়া হবে! বিজেপিকে আমার জবাব— আমি মহারানা প্রতাপের বংশধর, আমি রাজপুত। মাথা কেটে ফেলব কিন্তু দুর্নীতিবাজ, ষড়যন্ত্রকারীদের সামনে মাথা নত করব না। আমার বিরুদ্ধে সব মামলা মিথ্যা, যা খুশি করতে পারেন।’ এর পর কেজরিও বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ জানিয়ে সরব হন। তার পরই আস্থাভোটের ডাক দেন।