এরাজ্যে বিভিন্ন শিল্প সংস্থার তরফে অমীমাংসিত কর সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি করে রাজ্য সরকার গত এক বছরে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা আয় করেছে।
বিভিন্ন ট্রাইবুনাল বা কোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় প্রায় ২৫ হাজার মামলার আদালতের বাইরে মীমাংসার সুযোগ করে দিয়ে এই কর আদায় করা গিয়েছে বলে অর্থ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। গত অর্থবছরের রাজ্য বাজেটে এই মামলা গুলি নিষ্পত্তির জন্য এককালীন মীমাংসার সুযোগ করে দেয় রাজ্য অর্থ দপ্তর। প্রাথমিকভাবে তার জন্য দু’মাস সময়সীমা রাখা হলেও পরবর্তীকালে তা বাড়ানো হয়। সরকারের দাবি, ছোট শিল্প বা ট্রেডিং সংস্থাগুলির পাশাপাশি বড় সংস্থাগুলিও যাতে ওই মীমাংসা প্রকল্পের আওতায় আসে, তার জন্য প্রচার চালানো হয় জোর জদমে। এর মধ্যে দিয়ে গত অর্থবর্ষে ২৫ হাজার কেসের মধ্যে ২২,৭০০টির নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে। তা থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে এককালীন ৮৬৩ কোটি টাকা।
প্রকল্পটি চালু করার সময় সময় রাজ্য সরকার জানায়, বকেয়া কর, সুদ, পেনাল্টি, লেট ফি প্রভৃতির মীমাংসার জন্য নামমাত্র টাকা মেটানোর সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা। প্রকল্পটি চালু হয় ২০২৩-এর ১ এপ্রিল। প্রথম দু’মাসেই প্রায় ১২ হাজার সংস্থা এই প্রকল্পের সুযোগ নেয়। এর ফলে সেইসময় রাজ্যের আয় হয় ১০০ কোটি টাকারও বেশি। এরপরই সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। এই প্রকল্পে সরকার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির পারস্পরিক লাভ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।২০১৭ সালের জুলাই থেকে দেশে চালু হয়েছে অভিন্ন পরোক্ষ করবিধি (জিএসটি)। পশ্চিমবঙ্গে তার আগে যে কর ব্যবস্থা চালু ছিল, তা নিয়ে বেশ কিছু আইনি জটিলতা বা মামলা মকদ্দমায় জড়িয়েছিল রাজ্য। সেই জট কাটিয়ে কর সংক্রান্ত বিবাদ প্রায় মিটিয়ে আনল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনকী, আদালতের বাইরেই সেই বিবাদের মীমাংসা করে গত একবছরে রাজ্যের আয় হল প্রায় ৯০০ কোটি টাকা।