ম্যাচ ছিল মুম্বইয়ের হাতের মুঠোয়। কিন্তু সেখান থেকে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। শেষ ওভারে নায়ক হয়ে উঠলেন আবেশ খান। অথচ পরিস্থিতি ছিল পুরোপুরি আলাদা। মুম্বই জার্সিতে সেঞ্চুরি ম্যাচে নেমেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। রান তাড়ায় ৪৩ বলে ৬৭। দুর্দান্ত একটা ইনিংস উপহার দেন। কিন্তু স্কাই আউট হতেই লখনউ শিবিরে আশার আলো। তিলক ভার্মার সঙ্গে ক্রিজে তখনও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ক্য়াপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া উপস্থিত। ফলে যতক্ষণ না ম্যাচের শেষ ডেলিভারিটা ঠিকঠাক হচ্ছে, কেউ বলতে পারে না, রেজাল্ট কোন দিকে যাবে। শেষটা যেমন হতে পারত, হল না। একটা সিদ্ধান্তই ডোবাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে?
টার্গেট ২০৪। লখনউয়ের মাঠে এই রান তাড়া করে জেতা মানে রেকর্ড। শেষ দু-ওভারে ২৯ রান প্রয়োজন ছিল মুম্বইয়ের। পাঁচটা সিঙ্গল আসে। ২৩ বলে ২৫ করা তিলক ভার্মাকে হঠাৎই তুলে নেওয়া হয়। অর্থাৎ রিটার্য়ার্ড আউট। চমকে দেওয়া সিদ্ধান্ত। পরিবর্তে মিচেল স্যান্টনারকে নামানো হয়। নেমে ২ রান নেন স্যান্টনার। তখনও ম্যাচের অনেক রোমাঞ্চ বাকি। নায়ক থেকে হঠাৎই খলনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া!
স্লো-ওভার রেটের জন্য শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি। অর্থাৎ পাঁচের পরিবর্তে ৪ ফিল্ডারই বাউন্ডারিতে। চাপ বাড়ে লখনউ ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থের। ৬ বলে ২২ রান প্রয়োজন মুম্বইয়ের। বোলিংয়ে আসেন আবেশ খান। প্রথম ডেলিভারিতেই কভারের উপর দিয়ে ছয় হার্দিকের। লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫ বলে ১৬। পরের ডেলিভারিতে ইয়র্কার দিলেও ২ রান নেন হার্দিক। তৃতীয় ডেলিভারিও ইয়র্কার। কিন্তু সিঙ্গল নেননি হার্দিক। স্ট্রাইক নিজের কাছে রাখেন। এটা যেন দ্বিতীয় ভুল। চতুর্থ ডেলিভারিতে বড় শট খেলার চেষ্টায় ব্য়র্থ হন। ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যায়।
ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে ছয় এলে, যে কোনও বোলার চাপে পড়তে বাধ্য। আর এমন পরিস্থিতিতে হার্দিকের ম্যাচ জেতানোর অভিজ্ঞতা নেহাৎ কম নয়। সেটা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট হোক আর আন্তর্জাতিক। কিন্তু তিলককে পরিবর্তনের সিদ্ধান্তেই কি ডুবল মুম্বই? এই প্রশ্ন উঠছে। শেষ ওভারে মাত্র ৯ রান ওঠে। হয়তো সিঙ্গল-ডাবল নিলে কিছুটা ব্যবধান কমত। ঋষভ পন্থ যে অনেক অনেক স্বস্তি পেলেন, বলাই যায়।