ফের উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পর্যটকরা। এবারে কেদারনাথে দর্শনে গিয়ে মৃত্যু হল এক বাঙালি পর্যটকের। পুলিশ সূত্রে খবর মৃতের নাম কৃষ্ণচন্দ্র পাল (৬৬)। তার বাড়ি হাওড়া পুর নিগমের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভুবন মোহিনী রোডে। পরিবার সূত্রে খবর, দ্বাদশীর দিন ৩০ জনের একটি দলের সঙ্গে ট্র্যাভেল এজেন্সির মাধ্যমে কৃষ্ণচন্দ্র পাল কেদারনাথের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রুদ্রপ্রয়াগে ওঠার সময় কৃষ্ণচন্দ্র পাল হঠাৎ করেই পথের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই তাঁর মৃত্যু হয় বলেই পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তরাখণ্ড পুলিশ তাঁর মৃত্যুর খবর জানায় শিবপুর থানায়। এরপর শিবপুর থানা থেকে তাঁর বাড়িতে খবর জানানো হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কৃষ্ণচন্দ্রবাবুর মেয়ে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের এয়ারহোস্টেস। তাঁকেও তার বাবার মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়েছে। তার বাড়ি থেকে ওই পর্যটক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লি হয়ে কার্গো বিমানে কলকাতায় দেহ নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। কৃষ্ণচন্দ্র পালের মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকা। ওই দিন রাতেই হাওড়া পুর নিগমের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ সদস্য শ্যামল মিত্র খবর পেয়ে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তিনি বৃহস্পতিবার নিজে কলকাতা বিমানবন্দরেও যাবেন বলে জানিয়েছেন ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তরকাশীতে ট্রেকিংয়ে গিয়ে তুষারধসের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ বাঙালি পর্যটকের। যার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা সন্দীপ সরকারও রয়েছেন। তাঁরা উত্তরাখণ্ডের পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং -এর সঙ্গে গিয়েছিলেন। মূলত ট্রেকিংয়ের একটি অ্যাডভান্স কোর্স করতে গিয়েছিলেন। গত ৪ অক্টোবরের তুষারধসের কবলে পড়ে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৩ জনই বাংলার পর্যটক। মঙ্গলবারই তাঁদের দেহ বাড়িতে আসে।