নাবালিকার গোপনাঙ্গে কাঠের টুকরো! খেতে দেওয়া হত না ঠিকমতো

কানপুর: নিজের মা নেই। দত্তক সন্তান হিসেবে নতুন পরিবারে গিয়ে নাবালিকা ভেবেছিল, হয়তো আদর, স্নেহ মিলবে।

কিন্তু সেই মায়ের কাছ থাকাকালীন অবস্থায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হল ১১ বছরের মেয়েক।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নাবালিকার গোপনাঙ্গ থেকে একটি কাঠের টুকরোও উদ্ধার হয়েছে। তারা সারা শরীরে পুরনো ও নতুন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের।
গোপনাঙ্গে কাঠের টুকরো কীভাবে গেল, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই ঘটনা উস্কে দিয়েছে কয়েক বছর আগে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের ভয়াবহ স্মৃতি।

ওই নাবালিকার ওপর শারীরক অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাতের দাগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকাকে দত্তক নিয়েছিলেন এক মহিলা। তাঁর দাবি, ভাইয়ের সঙ্গে মারামারিতে আঘাত লেগেছে ওই নাবালিকার। যদিও তার কথার মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই নাবালিকা কী ভাবে আঘাত পেল, তার ওপর অত্যাচার হয়েছে কি না তা জানার জন্য ওই মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার মা বছর খানেক আগে মারা যান। এর পর তার বাবা তাকে ফেলে চলে যায়। এর পর থেকে একটি শেল্টার হোমে থাকত ওই নাবালিকা। সেখানে থেকেই তাকে দত্তক নেন কানপুরের ধুমানগঞ্জ এলাকার এক মহিলা। তাঁর স্বামী একটি স্কুলের শিক্ষক বলেও জানা গিয়েছে।

হাসপাতালে ভর্তি নাবালিকার অভিযোগ,  মাসের অর্ধেক দিনই ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয় না। ওই নাবালিকার আঘাতের ব্যাপারে সিদ্ধার্থ পাণ্ডে নামের চিকিৎসক বলেছেন, “এক্স রে রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ওই নাবালিকার দেহে পুরনো ও নতুন একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মহিলা চিকিৎসক নাবালিকার গোপনাঙ্গ থেকে কাঠের টুকরোও পেয়েছেন। তার হাতও ভাঙা ছিল। আমরা পুলিশকে জানিয়েছে বিষয়টি।”

ধুমানাগঞ্জ থানার স্টেশন হাউস অফিসার বলেছেন, ‘নাবালিকাকে দত্তক নেওয়া মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − four =