নিজস্ব প্রতিবেদন, জামুড়িয়া: ইসিএলের কুনুস্তোড়িয়া এরিয়ার পড়াশিয়া কোলিয়ারিতে কর্মরত অবস্থাতে এক শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। তাঁকে তড়িঘড়ি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, পারবেলিয়ার বাসিন্দা রাজেশ প্রসাদ নুনিয়া কোলিয়ারিতে ট্রামার বা ঠালোয়ান হিসেবে কাজ করতেন। ২০১৫ সালে রাজেশ তা¥র মায়ের মৃত্যুর পরে মায়ের বদলে কাজে জয়েন করেন। শুক্রবার ফার্স্ট শিফটে ডিউটি জয়েন করে খাদের নীচে কাজ করেছিলেন তিনি। ছুটি হওয়ার ১৫-২০ মিনিট আগে হঠাৎ খাদের নীচে কয়লার চাল ধসে পড়ে তাঁর ওপর। চালের ভার এতটাই বেশি ছিল যে গুরুতর আহত হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাকি শ্রমিকরা তুলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপরেই তাঁর পরিবারের একজনের চাকরি ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে কোলিয়ারির সমস্ত ইউনিয়ন মিলে কোলিয়ারির কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। বিক্ষোভের কোলিয়ারির উৎপাদন বন্ধ থাকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন এরিয়া এপিএম রাজেশ ত্রিবেদী,কোলিয়ারি এজেন্ট মধূসুদন সিং, জামুড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং।
শেষে ইসিএলের পক্ষ থেকে মৃত শ্রমিকের বাড়ির একজনকে চাকরি ও সমস্ত নৈতিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। তবে বিক্ষোভের জেরে শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কোলিয়ারির উৎপাদন ব্যাহত হয়। শনিবার সকাল থেকেই কোলিয়ারির কাজ ফের স্বাভাবিক হয়।