১০ মার্চের ডার্বি এখনও পর্যন্ত অনিশ্চিত তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের কারণে। বিধাননগর কমিশনারেট আয়োজক ইস্টবেঙ্গলকে জানিয়ে দিয়েছে, ১০ মার্চের ডার্বিতে পর্যাপ্ত পুলিশ দেওয়া যাবে না। আইনশৃঙ্খলাজনিত কারণে বাঙালির বড় ম্যাচের ভাগ্য এখনও নির্ধারিত হয়নি। ৯ আর ১০ তারিখ বড় ম্যাচের জন্য পুলিশি নিরাপত্তা দিতে পারবে না বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। এদিকে সপ্তাহান্তে ছাড়া বড় ম্যাচ আয়োজন করতে চায় না এফএসডিএলও। বিধাননগরের তরফ থেকে ১১ তারিখ বড় ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া। তাতে সায় দেয়নি এফএসডিএল। এমনকি মোহনবাগানের খেলা আছে ১৩ তারিখ। তাদের ১১ তারিখ খেলতে আপত্তি নেই ঠিকই, তবে শর্ত একটাই। সেক্ষেত্রে ১৩ তারিখের ম্যাচটা একদিন পিছিয়ে ১৪ তারিখ করতে হবে।
মনে করা হচ্ছে, সোমবার বড় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে। ৯ কিংবা ১০ তারিখ বড় ম্যাচ আয়োজন মানে বিধাননগর পুলিশের কাছে বাড়তি চ্যালেঞ্জ। আয়োজক ইস্টবেঙ্গল মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে, ডার্বিটাকে শহরের বাইরে না নিয়ে যেতে। বড় ম্যাচ থেকে যে গেটসেল হয়, তা হাতছাড়া করতে রাজি নয় লাল-হলুদ। ভাবনায় উঠছে জামশেদপুর বা গুয়াহাটির মতো ভেনু। একটা অংশ মনে করছে ডার্বির বিকল্প তারিখ না পেয়ে হয়তো ১০ তারিখ সাড়ে সাতটার বদলে সাড়ে আটটায় কিক অফ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ব্রিগেড শেষ হয়ে যাওয়ার পর বড় ম্যাচ আয়োজনের জন্য কিছুটা অতিরিক্ত সময় পাওয়া যাবে।অনেকে মনে করছেন, নির্বাচনী আবহে মুখ্যমন্ত্রী এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন।
সূত্রের খবর, বড় ম্যাচ আয়োজনের জন্য আরও একটা তারিখ প্রস্তাব রাখছে ইস্টবেঙ্গল। তা হল ১৬ মার্চ। এক্ষেত্রে দরকার কোচ স্টিমাচের অনুমতি। কারণ ১৩ তারিখের পরই জাতীয় দলের শিবিরে চলে যাচ্ছেন ফুটবলাররা। ২২ তারিখ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের পর্বের ম্যাচ। অ্যাওয়ে ম্যাচ। ১৬ তারিখের আগেই ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা ফুটবলারদের। একমাত্র কোচ স্টিমাচের সবুজ সংকেত মিললেই ১৬ তারিখ বড় ম্যাচ হওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে ডার্বি খেলেই জাতীয় দলের শিবিরে যোগ দেবেন দুই প্রধানের ফুটবলাররা। সূত্রের খবর, ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবের ভূমিকা এক্ষেত্রে কার্যকারী হতে পারে। কারণ তিনিই পারবেন স্টিমাচকে অনুরোধ করে ডার্বির জন্য দুই প্রধানের ফুটবলারদের ছাড় দিতে। সোমবারই হয়তো এর ছবি অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।