উত্তর ২৪ পরগনা: নয়া পর্দা ফাঁস সন্দেশখালিতে, এবার সামনে এল বাম জামানায় পাট্টা দেওয়ার দুর্নীতির একের পর এক পর্দা ফাঁস হচ্ছে। এবার সামনে এল বাম জামানায় পাট্টা দেওয়ার দুর্নীতি। সময় যত গড়াচ্ছে তাতে সন্দেশখালি নিয়ে সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেস যে পরিকল্পিত ভাবে চক্রান্ত করেছে তার চিত্র বাইরে আসছে। সন্দেশখালির পাট্টার তদন্ত করতে গিয়ে ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ল। বাম জামানায় দেওয়া পাট্টা কেন রেকর্ড করা হয়নি তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ও সভাধিপতির উদ্যোগে সন্দেশখালি মানুষ পাট্টা পেলেও কেন তার রেকর্ড হয়নি তার স্কুটিনি সোমবার থেকে শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ ভবনের তিতুমির সভাকক্ষে।
এদিন সন্দেশখালি থেকে ৪৫ জনকে তাদের পাট্টার কাগজপত্র সহ বারাসাতে আনা হয় বাসে করে। তাদের যাতায়াত ও দুপুরে খাওয়া-দাওয়া ব্যবস্থ্যর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত খরচের তাদের দায়িত্ব নেন সভাধিপতি নিজের টাকায়। সেখানে ৩৩ জনের পাট্টা দেওয়া হলেও তা রেকর্ড করা হয়নি। সন্দেশখালিতে চলা ক্যাম্পের মাধ্যমে বাকি ১২ জন নতুন করে আবেদন করেছেন। ৩৩ জনের স্কুটিনি করতে গিয়েই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে আসে। দেখা যায়, সেই পাট্টা দেওয়া হয় ২০১১ এর আগে অর্থাৎ বাম জামানায়। এই তথ্য সামনে আসতেই নারায়ণ গোস্বামীর দাবি কেন বাম জামানায় পাট্টা দেওয়া জমির রেকর্ড করেনি তৎকালীন সরকার? স্কুটিনিতে দেখা যায় পাট্টাগুলি মূলত ১৯৮০ দশক থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে দেওয়া হয়েছে। নারায়ণের দাবি, বাম সরকারের ব্যর্থতার দায় আমাদের নিতে হচ্ছে। তারা পাট্টার দেওয়া জমি রেকর্ড না করিয়ে এই সমস্যা তৈরি করেছে। অথচ বাম রাম এক হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। মানুষকে খেপিয়ে বলা হচ্ছে জমি তৃণমূল নেতারা দখল করেছে।
দেখা যাচ্ছে বামেদের অপদার্থতার কারণে পাট্টার জমি রেকর্ড না হওয়াতে সমস্যা হয়েছে ফলে অনেকেরই লিজের টাকা পেতে সমস্যা হয়েছে। বামেরের অপদার্থতার সুযোগ নিয়েই কিছু অসৎ মানুষ নিজের টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমাদের অনুমান বাম জামানার এই কুকীর্তি সংখ্যা আরও বাড়বে। একে একে সবটাই স্কুটিনি করে দেখা হবে। পাট্টার সমস্যা সমাধান হতেই বেজায় খুশি ৩৩ জন মানুষ। তাদের দাবি, আমরা জমির জন্য বহু জায়গায় ঘুরেছি, কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা জানতামই না আমাদের জমি রেকর্ড হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ আমাদের সমস্যার সমাধান করার জন্য।
এদিন তিতুমির সভা কক্ষে নারায়ণ গোস্বামী ছাড়াও ছিলেন বন ও ভূমির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, জেলের ডেপুটি বিএলআরও অনুপম দাস মজুমদার, অন্যান্য ভূমি আধিকারিক সহ সন্দেশখালির নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা। এদিন ফারহাদ বলেন যে ১২ জন নতুন করে আবেদন করেছে তাদের পাট্টা শীঘ্রই দিয়ে দেওয়া হবে। এই সংখ্যা বাড়তে পারে। জেলায় এক হাজার পাট্টা দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের প্রতিশ্রুতি মতো যে ১৭০ জনের লিজের মোট প্রায় ৩ লক্ষ টাকা পাননি সেই টাকা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ১০ জনকে তাদের প্রাপ্য টাকা দেওয়া হয়েছে। যার পরিমাণ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল নেতা কর্মীদের থেকে টাকা তুলে খুব শীঘ্রই বাকি টাক পরিশোধ করা হবে বলেও সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানিয়েছেন।