ভয়াল গঙ্গার রূপ। আর সেই গঙ্গায় নদীতেই খেলনা বেলুনের মধ্যে থেকে ভেসে এল সদ্যোজাত এক কন্যা শিশু। আর সেই সদ্যোজাতকে ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার করলেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, মানিকচক থানার নয়া বিলাইমারি এলাকায়। ওই শিশুকে উদ্ধারের পর মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় কিছু মানুষ। সেখানে ওই শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে রেফার করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজে। আপাতত ওই শিশুর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন মালদা মেডিক্যাল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। ঢেউ উপচে পড়া নদী থেকে অদ্ভুতভাবে সদ্যোজাত শিশু উদ্ধারের ঘটনায় অবাক করে দিয়েছে মানিকচকের নয়াবিলাই মাড়ি এলাকার গ্রামবাসীদের। তাঁদের বক্তব্য, একদিকে ভাঙন, অন্যদিকে ভরা গঙ্গা নদীর মধ্যে শিশুটি কিভাবে ভেসে এসে বাঁচল তা সত্যি হতবাক করে দেওয়ার মতোই। মা গঙ্গার আশীর্বাদ ছাড়া ওই সদ্যোজাতের বাঁচা কোনওমতেই সম্ভব ছিল না। যা সম্ভব হয়েছে। নয়াবিলাইমারি এলাকার গ্রামবাসী তথা প্রত্যক্ষদর্শী আকমল শেখ বলেন, এদিন সকালে আমরা কয়েকজন মিলে গঙ্গা পাড়ে বসেছিলাম। হঠাৎ দেখি একটা বড় ধরনের খেলনা বেলুনগুলির মধ্যে শিশুর কান্নার আওয়াজ। তাতেই আমাদের সন্দেহ হয়। এরপরই নদীর পাড় ধরে সেই শিশু কান্নার দিকে খেয়াল রাখতে রাখতে কিছুটাই এগিয়ে যায়। তারপর নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই সদ্যোজাতকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল বলেই তাকে তড়িঘড়ি মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় দিনের শিশুর বয়স হবে। এব্যাপারে পুলিশকেও জানানো হয়েছে। এদিকে উদ্ধারকারী গ্রামবাসীদের বক্তব্য, কেউ বা কারা কন্যা সন্তান মনে করেই ওই সদ্যোজাতকে খেলনা বেলুনের মধ্যে বসিয়ে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছে। যারা এই কাজ করেছে তারা নিষ্ঠুর। পুলিশ তাদের খুঁজে বার করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক বলে দাবি করেছে গ্রামবাসীরা। আপাতত ওই শিশু বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসাধীন রয়েছে।