আজ সকালে আচমকাই ড্রোন উড়তে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপর। জানা গিয়েছে, ভোর পাঁচটা নাগাদ একটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। কে বা কেন এই ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে কিছুই জানতে পারেননি নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী বাসভবনটি নো ফ্লাইং জনের অন্তর্ভুক্ত। এই অঞ্চলে কোনও বিমান বা ড্রোন ওড়ানো যায় না। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকেরা। উল্লেখ্য, দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)-এর সদস্যেরা দিল্লি পুলিশকে এই বিষয়ে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিযুক্ত থাকেন এসপিজি-র আধিকারিকেরাই। তাঁরাই প্রথম ড্রোনটি লক্ষ করেন। খবর পেয়েই দ্রুত পদক্ষেপ করে দিল্লি পুলিশ।
ঘটনার তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ ওই রহস্যময় ড্রোন সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করে। যোগাযোগ করা হয় এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-র সঙ্গেও। কিন্তু এমন কোনও ড্রোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘আমাদের কাছে খবর এসেছে যে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে একটি শনাক্ত করতে না পারা উড়ন্ত জিনিস দেখা গিয়েছে। আমরা সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এমন কোনও জিনিস পাইনি। এটিসির সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের নজরেও এমন কিছু আসেনি।’
তদন্তে নেমে দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও ড্রোনের হদিশ মেলেনি। দিল্লি পুলিশের তরফে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু সেখানেও নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি, কোন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ড্রোনটি ঢুকেছিল। রহস্যময় ড্রোন আবার আচমকা কোথায় বেপাত্তা হয়ে গেল তা নিয়েও কিছুই জানা যায়নি। সবমিলিয়ে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও প্রশ্নের মুখে পড়ছে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা।