জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগুরুক। আইপিএলে সুযোগ মিলবে এমন ভাবনাই ছিল না। হঠাৎই সুযোগ আসে। তারকা ক্রিকেটার নাম তুলে নেওয়ায় তরুণ ম্যাক ফ্রেজার ম্যাক-গুরুককে টিমে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। নেটে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন। প্রত্যেকটা ম্যাচেই মনে করা হত, এই বুঝি সুযোগ মিলবে। কিন্তু বেঞ্চ থেকে বাইশগজের পদোন্নতি আর কিছুতেই হচ্ছিল না। অবশেষে সুযোগ এবং প্রথম সুযোগেই বাজিমাত।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অবশেষে জয়ে ফিরল দিল্লি ক্যাপিটালস। বিশাখাপত্তনমে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়েছিল তারা। এরপর থেকেই জয়ের খোঁজে। লখনউয়ের মাঠেও বোলিংয়ে শুরুটা দুর্দান্ত হলেও শেষ দিকে খেই হারিয়েছিলেন ঋষভ পন্থরা। লখনউ জার্সিতে খেলা দিল্লিরই এক ব্যাটার আয়ুষ বাদোনি পরিস্থিতি পুরো পাল্টে দেন। বোর্ডে ১৬৭ রান। লখনউ সুপার জায়ান্টসের যা বোলিং লাইন আপ, এই রান তাদের কাছে যথেষ্ঠ ছিল।
ঘরের মাঠে এ মরসুমে অপরাজিতই ছিলেন লোকেশ রাহুলরা। সেই পরিসংখ্যান আর ধরে রাখা গেল না। বল হাতে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়েছিল লখনউয়ের। পাওয়ার প্লে-তেই বিধ্বংসী ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট নেন গত ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া যশ ঠাকুর। পাওয়ার প্লে-র পরের ওভারেই রবি বিষ্ণোই ফেরান পৃথ্বী শ-কে। অধিনায়ক ঋষভ পন্থের সঙ্গেও দারুণ জুটি গড়েন জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগুরুক। একটা সময় মনে হয়েছিল, এই জুটিই ম্যাচ শেষ করে আসবে।
দলীয় ১৪০ রানে ম্যাকগুরুক, ১৪৬ রানে ঋষভ পন্থ। দুই সেট ব্যাটারের উইকেট হারায় দিল্লি। তাতে অবশ্য জিততে সমস্যা হয়নি। তরুণ ত্রিস্তান স্টাবস এবং অভিজ্ঞ শেই হোপ ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। ১১ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয়। জ্যাক ৫৫ এবং ঋষভ পন্থ ৪১ রান করেন।