রাজ্যের আমলা স্তরে বড়সড় রদবদল। মঙ্গলবার নবান্নের তরফ থেকে এক নির্দেশিকা জারি হয় তাতে দেখা যাচ্ছে বদলি করা হয়েছে একাধিক জেলার জেলাশাসককে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সম্মতি মিলতেই বদলি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নবান্ন। সামনেই লোকসভা নির্বাচন রয়েছে, তার আগে রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে আমলা স্তরে এই ব্যাপক রদবদল নিঃসন্দেহে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিনের যে বিজ্ঞপ্তি নবান্নের তরফ থেকে প্রকাশ করা হয় তাতে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক করা হল তনভীর আজমলকে। পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক হিসেবে কর্মরত এস অরুণ প্রসাদকে এবার নদিয়ার জেলাশাসক করা হয়েছে। প্রীতি গোয়েল এতদিন উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন, এবার তাঁকে দার্জিলিঙের জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল। অন্যদিকে দার্জিলিঙের জেলাশাসক হিসেবে কর্মরত পুননাবলম এস-কে এবার পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক করা হয়েছে। হাওড়ার জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পি দীপাপ্রিয়াকে। তিনি এতদিন ছিলেন হুগলির দায়িত্বে। আর হাওড়ার জেলাশাসক হিসেবে কর্মরত মুক্তা আর্যকে পাঠানো হল হুগলির জেলাশাসক করে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক হিসেবে কর্মরত সিয়াদ এন-কে এবার বাঁকুড়ার জেলাশাসক করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক শামা পারভিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক হিসেবে। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক হিসেবে কর্মরত সুরেন্দ্রকুমার মিনাকে এবার উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক করা হল। উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা এবার থেকে কোচবিহারের দায়িত্ব পালন করবেন। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক করা হয়েছে টি বালাসুব্রমনিয়ানকে। কালিম্পং-এর জেলাশাসক হিসেবে কর্মরত আর বিমলাকে এবার পাঠানো হয়েছে আলিপুরদুয়ারের দায়িত্বে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক করা হয়েছে পূর্ণেন্দু মাজিকে, তিনি এতদিন ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্বে।
এদিকে প্রশাসনের তরফে এটিকে একটি রুটিন বদলি হিসেবেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তবে লোকসভা ভোটের আগে এই ব্যাপক রদবদল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, যাঁদের বদলি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেক জেলাশাসকই সেই জেলায় তিন বছরের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন। এমন অবস্থায় লোকসভা ভোটের মুখে কমিশন তাঁদের অন্যত্র বদলি করার সম্ভাবনা ছিল। সেই সম্ভাবনার কথা আঁচ করেই আগেভাগে জেলাশাসক স্তরে বদলি করে ফেলল রাজ্য।