ধৃত জয়দীপের কাছ থেকে মিলতে পারে বহু উত্তর, আশা তদন্তকারীদের

যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় জয়দীপ ঘোষকে। জয়দীপও একজন প্রাক্তন পড়ুয়া। গত ৯ অগাস্ট ঘটনার দিন পুলিশকে বাধার দেওয়ার অভিযোগে জয়দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে যাদবপুর পুলিশ সূত্রে খবর। সঙ্গে এ খবরও মিলেছে যে,এই জয়দীপই সেদিন হস্টেল গেটে তালা লাগিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন জেনারেল বডি মিটিংয়েও জয়দীপ উপস্থিত ছিলেন। এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি ওইদিন সন্ধ্যে থেকেই প্রাক্তন পড়ুয়া হস্টেলে উপস্থিত ছিলেন কিনা তা নিয়েও। সঙ্গে এ প্রশ্নও উঠেছে, ঘটনার সম্পর্কে কি তিনি অবগত ছিলেন সে প্রসঙ্গেও। পাশাপাশি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে আবাসিক না হওয়া সত্বেও ঘটনার দিন হস্টেলের তিনি কী করছিলেন সেই বিষয়েও। ইতিমধ্যেই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জয়দীপকে নিয়ে যাদবপুর-কাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩।

এদিকে যাদবপুরের এই প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় দুটি মামলা রুজু হয়েছে। একটি তাঁর পরিবারের তরফ থেকে ও অপরটি যাদবপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাত্রিবেলা খবর পেয়ে পুলিশ যখন মেইন হস্টেলে পৌঁছয় সেই সময় আধিকারিকদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গেট বাইরে থেকে বন্ধ করে তালা দেওয়া হয় বলে জানায় পুলিশ।

এই ঘটনার তদন্তে নেমে যাদবপুর থানায় জেরা করা হয় তিন পড়ুয়া ও এক নিরাপত্তারক্ষীকে। তখনই উঠে আসে জয়দীপের নাম। সেই সূত্র ধরেই ৩৫৩ ধারায় মামলা রুজু করে যাদবপুর থানার পুলিশ। অর্থাৎ পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয় প্রাক্তন এই পড়ুয়া।

জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন জয়দীপ ঘোষ। তবে তিনি মেইন হস্টেলের আবাসিক নন। এই যাদবপুরেরই বিক্রমগড়ে ভাড়া থাকেন জয়দীপ। কিন্তু সেদিন হস্টেলে কী করছিলেন তিনি সেটাই এখন ভাবচ্ছে পুলিশ আধিকারিকদের। জয়দীপ ছাড়া আরও যাঁরা এই অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন, তাঁদের সকলকেই শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + 7 =