ব্যারাকপুর: জগদ্দলের গুপ্তারবাগানে এক বৃদ্ধা পরিচারিকা সুশীলা কাহারের অ্যাকাউন্টে (account) এক কোটি ৮০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল। ২০১৮ সালের পয়লা অক্টোবর রাঁচির সিল্লি থানায় অভিযোগ জমা পড়েছিল। গত ৮ সেপ্টেম্বর সুশীলা কাহারের বাড়িতে তদন্তে এসেছিলেন সিল্লি থানার পুলিশ। এবার আগরপাড়ার আজাদ হিন্দ নগরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। জানা গিয়েছে, ঘোলা থানার আজাদ হিন্দ নগরের বাসিন্দা মোমবাতি বিক্রেতা অমল সেন আগরপাড়া উসুমপুর বটতলা এলাহাবাদ ব্যাংক শাখায় একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। কিন্তু গত দু-তিন বছর ধরে ওই একাউন্টে কোনও লেনদেন হয় না। শুক্রবার রাতে ঘোলা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অমল বাবুর বাড়িতে হাজির হন আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার দু’জন আধিকারিক। অমল বাবু এবং তার ছেলে সম্রাটকে তদন্তকারীরা জানান, শেক্সপিয়ার সরণি থানার অধীনস্থ ব্যাংক জালিয়াতির কেসের জন্য তারা তদন্তে এসেছেন। তদন্তকারীরা অমল সেনকে ১৬০ সিআরপিসি ধারায় একটি নোটিস ধরিয়ে দেন। এরপর ঘোলা থানায় অমল বাবু ও তার ছেলেকে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে অমল বাবুর পুত্র সম্রাট সেনের হাতেও একটি নোটিস ধরিয়ে দেন তদন্তকারীরা। সোমবার দু’জনকে কলকাতার ৫ নম্বর কাউন্সিল স্ট্রিটের ডিরেক্টর অফ ইকোনমিক অফেন্স অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এপ্রসঙ্গে মোমবাতি বিক্রেতার পুত্র সম্রাট সেন বলেন, ব্যাংকের বই শেষবার আপডেট করা হয়েছিল ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। তাছাড়া দীর্ঘদিন ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা-পয়সা লেনদেন করা হয়নি। এখন শুনছি ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এক কোটি ৬০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। কোথা থেকে এত টাকা এল, তা নিয়েই হতবাক সেন পরিবার। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর শেক্সপিয়ার সরণি থানায় একটি আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ জমা পড়ে। কেস নম্বর – ১৫৭/২১। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মোমবাতি বিক্রেতা অমল সেনের বাড়িতে তদন্তে এসেছিলেন আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার অধিকারিকরা।