আবারও প্রাচীন পদ্ধতিতে বাড়ির দরজা শাবল দিয়ে ভেঙে বাড়িতে ঢুকে ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা জুড়ে। মারধর করে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না ও নগদ টাকা ডাকাতির অভিযোগ। আতঙ্কে আরামবাগ মহকুমার গোঘাটের মির্গা গ্রাম। ঘটনার তদন্তে গোঘাট থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, বাড়ির প্রধান ফাটক শাবল দিয়ে ভেঙে এবং তালা ভেঙে গৃহবধূ সহ তিন জনকে মারধর করে লক্ষাধিক টাকার সোনা দানা ও নগদ টাকা লুট করল ডাকাত দল। ঘটনাটি ঘটেছে, গোঘাটের ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মির্গা এলাকায়। অভিযোগ রাত ১ টা নাগাদ বাড়ির প্রধান ফাটকের তালা ভেঙে ডাকাতের দল বাড়িতে ঢোকে। বাড়ির গৃহবধূ সহ তিনজনকে বেধড়ক মারধর করে টাকা পয়সা গয়না ছিনিয়ে নেয়। আলমারিতে থাকা পাঁচ ভরি সোনার গয়না ও নগদ কুড়ি হাজার টাকা নিয়ে নেয় ডাকাত দল। পরে এলাকায় গিয়ে পুলিশ পৌঁছয়। পুলিশ আহত তিন জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করায়। এই বিষয়ে গোঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। এই বিষয়ে গৃহকর্তা সরোজ মণ্ডল জানান, রাত্রি ১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। লোহার রড দিয়ে আমাকে মারধর করার পর ছেলে ও বউমাকে মারধর করে এবং আলমারির চাবি নিয়ে লুটপাট চালিয়ে সোনা দানা নিয়ে চলে যায়। যদিও এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোঘাট এলাকায়। তবে রাত্রে পুলিশের গাড়ি পেট্রোলিং থাকা সত্ত্বেও কিভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটল, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়ে আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েক মাস আগেই আরামবাগ শহর থেকে একটি ডাকাত দলের গ্যাং ধরা পড়ে। কিন্তু আবার গোঘাটে আর একটি ডাকাত দলের সক্রিয়তা দেখা যাওয়ায় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।