নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব বর্ধমান: মাসখানেক আগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বদল হয়েছে। আর এরপরই দেখা যায়, কোনও এক জাদুবলে প্রায় ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকার বিল পাশ হয়ে যায়। আর এই নিয়েই দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগে সরব হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের একাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগার থেকে কয়েক কোটি টাকা লুঠের অভিযোগ করছেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পরীক্ষার ফি’র ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা কোষাগার থেকে উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু কোথায় গেল এই টাকা? সেই নিয়ে খোঁজখবর করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি বেসরকারি সংস্থার চুক্তি হয়েছিল। ওই বেসরকারি সংস্থার মূলত দায়িত্ব ছিল পড়ুয়াদের রেজাল্ট, মার্কশিট ও অ্যাডমিট কার্ডের মতো বেশ কিছু বিষয়। মোটা টাকার চুক্তি হয়েছিল ওই বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ওই সংস্থা চুক্তিমাফিক কাজ করছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। সেই কারণে অনেকদিন ধরেই বিল আটকে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাধিকবার বিল পাশ করতে অস্বীকার করেছে বলে দাবি।
আরও দাবি, আচার্য তথা রাজ্যপাল বিল পেমেন্ট করার অনুমতি দিয়েছেন, এই কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়। ইসি সদস্যদের ইমেল করে বৈঠক ডাকেন রেজিস্ট্রার। সেই বৈঠকেই ওই বেসরকারি সংস্থার ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকার বিল পাশ হওয়ার অনুমোদন মেলে বলে খবর। অথচ, বৈঠকের পরই আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের একটি ইমেল প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে বলা হচ্ছে, বিলের অনুমোদন নিয়ে আচার্যের ছাড়পত্র সংক্রান্ত কোনও নথি হাতে নেই। তা হলে কী ভাবে টাকা দেওয়া হল? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই।
এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক অনির্বান রায় চৌধুরীর দাবি, শুধুমাত্র সাড়ে তিন কোটি টাকা নয়, প্রায় একুশ কোটি টাকার নয়ছয় হয়েছে৷ তাই ঘুগুর বাসা ভাঙতে সরাসরি অভিযোগ করেন প্রাক্তন উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ও ফিনান্স অফিসারের বিরুদ্ধে।