বাগদায় যুবতীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিলে এক ঝাঁক নেতা মন্ত্রী

বাগদায় দুই বিএসএফ জওয়ান যুবতীকে গণধর্ষণের (gang rape) ঘটনায় তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিলের এক ঝাঁক নেতা মন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবারের যুবতীকে গণধর্ষণের ঘটনায় বাগদার জীতপুরের ঘটনাস্থলে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতৃত্ব। সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে একশো মিটার দূরত্বের গণধর্ষণের ঘটনার সেই পটল খেত পরিদর্শন করেন প্রতিনিধি দল। গ্রামবাসীদের সঙ্গেও কথা বলেন তারা। এক প্রকার প্রতিনিধি দলকে সামনে পেয়ে বিএসএফের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেন এলাকার সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি এদের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী সাংসদ সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, মন্ত্রী শশী পাঁজা, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সহ এক ঝাঁক তৃণমূলের নেতা নেত্রী। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কেন্দ্রের সরকার নোংরা রাজনীতির খেলায় নেমেছেন কিছু বিএসএফ জওয়ানদের দিয়ে এই ধরনের নোংরা কাজে মেতে উঠছেন। তবে আমরা কেউ বিএসএফের বিপক্ষে নয়। বিএসএফ আমাদের শত্রু নয়, বিএসএফকে আমরা সম্মান জানাই কারণ তারা দেশের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। গণধর্ষনের ঘটনায় যে বা যারা অভিযুক্ত তারা আইনগতভাবে অবশ্যই শাস্তি পাবে। এদিন মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। আমরা সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছি। আক্রান্ত যুবতী সঙ্গে আমরা কথা বলছি তার সমস্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়া উচিত। সংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, এই ঘৃণ্যতম অপরাধের নিন্দার কোনও ভাষা নেই। অভিযুক্তরা কঠোর শাস্তি পাবে। তবে বিজেপি যে বিএসএফের এক্তিয়ার ৫০ কিলোমিটার বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করেছিলেন আমরা তার বিরোধিতা করেছিলাম। মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, বাংলার মানুষ বিজেপিকে যোগ্য জবাব দিয়েছেন গত বিধানসভা নির্বাচনে আগামী লোকসভা নির্বাচনেও বাংলার মানুষ যোগ্য জবাব দিয়ে দেবেন বিজেপিকে। তবে বিএসএফ শুধুমাত্র যে একজন নারীর উপর নির্যাতন করেছে তা নয় একাধিক মানুষের উপর নির্যাতন করে। এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী গ্রামে গিয়েও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী সাংসদ সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। সমস্ত অভিযোগ নোট করে নেন তারা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গোটা বিষয়টি জানানো হবে বলে তারা জানিয়েছেন। তবে এই নিয়ে বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া জানান, তৃণমূল ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। বিএসএফের যে দুই জওয়ান এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 2 =