এক সদ্যোজাত শিশু কন্যাকে বহুতল থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটলো। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শিবপুর থানার ১২/১৩ কাউস ঘাট রোডে। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে , বৃহস্পতিবার দুপুরে রাস্তায় লোকজন কম থাকার সুযোগ নিয়ে কাউস ঘাট রোডের একটি আবাসনের বহুতল থেকে রাস্তায় সদ্যোজাতকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয় দেখে আঁতকে ওঠে। তাঁরাই শিবপুর থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে রাস্তা থেকে মৃত শিশুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে ওই আবাসনের দুই মহিলাকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান কন্যা সন্তান হওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এলে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। ওই আবাসনের একতলার বাসিন্দা রুকসানা খাতুন জানান উপর থেকে কিছু নিচে পড়ার আওয়াজ পেয়ে তিনি দৌড়ে ঘরের বাইরে আসেন। এসে দেখেন একটা বাচ্চা নিচে পরে আছে। ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েন তিনি। চিৎকার করলেও তাঁর গলা থেকে আওয়াজ বেরোচ্ছিল না। তাঁর হাত পা কাঁপতে থাকে ওই দৃশ্য দেখার পর। এরপর খানিকটা ধাতস্ত হয়ে তিনি তাঁর পাশের প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করতে থাকেন। সকলে যে দেখে ওই অবস্থায় বাচ্চাটি মাটিতে পড়ে আছে। তিনি জানান শিশুটি একদমই সদ্যোজাত। এভাবে তাকে উপর থেকে নিচে ছুঁড়ে না ফেলে তাঁকে দিয়ে দিলে তিনি তাঁর প্রতিপালন করতেন বলেই জানান রুকসানা খাতুন।
ওই পরিবারের কঠিন শাস্তি দাবি করেন ওই আবাসনের অপর এক বাসিন্দা সুলতানা পারভীন। তিনি জানান, তিনি একজন মা, আর কন্যা সন্তান হওয়ার জন্যই ওই সদ্যোজাতকে নিচে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আজকেই ওই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছিল বলেই জানান তিনি।
প্রসঙ্গত এর আগে লিলুয়ায় সদ্যোজাত কন্যা সন্তান রাস্তাতে থেকে উদ্ধার হয়। এছাড়াও চলতি মাসেই উলুবেড়িয়া পুরসভার ভাগাড় থেকে উদ্ধার হয়েছিল মৃত কুড়িটি শিশু ভ্রুণ। এই ধরণের ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসনিক মহল।