মাটিয়া ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে তৎপর রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলে চার সদস্যের ফরেনসিক দল। তদন্তকারীরা আতস কাচ, ভিডিও ফটোগ্রাফি, মাটি, রক্তের নমুনা, গাছের পাতা সংগ্রহ করলেন।
ধর্ষণ কাণ্ডে বুধবার কলকাতা থেকে ফরেনসিক আধিকারিক অভিজিৎ মণ্ডলের নেতৃত্বে চার প্রতিনিধি দল প্রথমে মাটিয়া থানায় আসেন। সেখানে থেকে পুলিশ আধিকারিক অভিজিৎ সিন্হা মহাপাত্র, তাপস ঘোষের নেতৃত্বে বিবেকনগর কলুতলা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে প্রায় একঘণ্টা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। প্রথমে পুরো এলাকা চিহ্নিতের পাশাপাশি একটি ভিডিওগ্রাফি করেন নিজেরা। তারপর সেখানে একদিকে আতস কাচ দিয়ে রক্তের নমুনা ও মাটি খুঁড়ে বের করে সেগুলো সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি নির্যাতিতা গ্রাম নেহালপুর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিন এই ঘটনার মূল পান্ডা মাসি রোজিনা বিবি এখনও পুলিশ হেপাজতে রয়েছে। অভিযুক্ত মাসির বোন তথা নির্যাতিতা নাবালিকার মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, একটা মেয়ে হয়ে যে অন্যায় তার বোন করেছে সেটা ভেবে অবাক হচ্ছেন তিনি। কিভাবে একটা ছোট শিশুর উপর নির্যাতন করল তাও আবার পরিকল্পনা করে সেটা তাদের ভবনার অতীত। তিনি তার দিদির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। মাটিয়া কাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রেমিক ও নির্যাতিতার মাসিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদেরকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল, মহামান্য বিচারক ৬ দিনের পুলিশি হেপাজতে নির্দেশ দিয়েছে, অভিযুক্তরা এখন আদালতের বিচারাধীন।