তদন্তের স্বার্থে ইডির আরও আধিকারিকদের কলকাতায় আনা হচ্ছে, খবর মিলেছিল আগেই। গত শুক্রবার সিবিআই-এর হাতে চিটফান্ড কাণ্ডে হালিশশহরের পুরপ্রধান গ্রেপ্তারও হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই কলকাতা জুড়ে তল্লাশি শুরু করল ইডি ও সিবিআই।
দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠিতে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। সোদপুরের রাজেন্দ্র পল্লিতে হানা দিয়েছে ইডি। সেখানেও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলছে তল্লাশি। ইডির সঙ্গে রয়েছেন ব্যাংক আধিকারিকরাও। এছাড়া বাগুইআটিতে দীপঙ্কর হীরা নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। সূত্রের খবর, সোমবার সকালেই সিবিআই আধিকারিকরা আলাদা আলাদা গাড়িতে বের হন। রানিকুঠির ঝুনঝুনওয়ালা হাউসে পৌঁছন তাঁরা। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন আধিকারিকরা। ২০২০ সালে কয়েকশো কোটি টাকার ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। ওই দুর্নীতির তদন্তে রানিকুঠিতে সাতসকালে সিবিআই আধিকারিকরা হানা দিয়েছেন বলেই খবর। আগেও ইডি ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল বলেই খবর।
রানিকুঠির পাশাপাশি এদিন সকাল থেকে সোদপুরের রাজেন্দ্র পল্লিতে চলছে ইডির তল্লাশি। ব্যবসায়ী সুব্রত মালাকারের ‘স্নেহদিয়া’য় হানা দেন আধিকারিকরা। রয়েছেন ব্যাংক আধিকারিকরাও। তবে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। সোদপুরের পাশাপাশি বাগুইআটিতেও হানা সিবিআই দলের। দীপঙ্কর হীরা নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। সবেমাত্র ৫ তলা বাড়ি তৈরি করেছেন দীপঙ্কর। ওই বাড়ি তৈরির টাকা কোথা থেকে পেলেন ব্যবসায়ী, তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।
সম্প্রতি একাধিক মামলায় তৎপর ইডি ও সিবিআই। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও প্রাক্তন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। অনুব্রত মণ্ডলও আপাতত জেল হেপাজতে। চিটফান্ড মামলায় সম্প্রতি সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েছেন হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি। তাঁর ঘনিষ্ঠ বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। এবার ফের একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি।