হাওড়া: মহালয়ার দিন সকালেই হাওড়াতে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। হাওড়ার সাঁকরাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক-এ ইমামি গোডাউনে আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে আসে দমকল। আগুন নেভাতে ধাপে ধাপে আনা হয় দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন। আগুনের ঘটনা প্রসঙ্গে প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলেই অনুমান করছেন দমকল কর্মী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে শনিবার ভোর ৬:৩০ মিনিট নাগাদ এই আগুনের ঘটনাটি ঘটে। গোডাউনে কোনও শ্রমিক না থাকায় কেউ হতাহত হন নি বলেই জানা যাচ্ছে। যদিও গোডাউনে বিপুল পরিমাণে ভোজ্য তেল মজুদ থাকার কারণে আগুনের তীব্রতা অনেক বেশি ছিল। গোডাউনে থাকা ভোজ্য তেল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সঠিক পরিমাণ না জানা গেলেও কয়েক কোটি টাকার ভোজ্য তেল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
পাশের গোডাউনের কর্মচারী শঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘ প্রথমে গোডাউনের পেছনের অংশে আগুন লাগে। তখন আমরা বুঝতে পারিনি। তারপর ৭ টা নাগাদ আগুন পুরো গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। আমরাও আতঙ্কিত হয়ে কারখানা থেকে বাইরে বেরিয়ে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ার ভয় ছিল। গোডাউনের ভিতর তেলের ব্যারেল বিস্ফোরণে তেল গড়িয়ে রাস্তায় জলের মতো বেরিয়ে আসে। এটা গোডাউন তাই শ্রমিক থাকতো না, বাইরে নিরাপত্তা রক্ষী দায়িত্বে থাকে।’
এদিকে, শনিবার বেলা বাড়লেও আগুন আয়ত্তে আনতে হিমশিম খেতে হয় দমকলকে। গোডাউনে মজুত বিপুল পরিমাণে ভোজ্য তেল থাকার কারণে আগুনকে নিয়ন্ত্রনে আনতে দমকল কর্মীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। পরে আনা হয় আরও ৭টি ইঞ্জিন। দমকলের ১৮টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় বেশ কয়েক ঘণ্টায় ঘটনাস্থলে রাজ্য দমকলের ডি জি রণবীর কুমার, সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী, জেলাশাসক দিপপ প্রিয়া পি ও সাঁকরাইলে বিধায়ক ক্রিয়া পাল। ইমামির ওই গোডাউনের পাশে হ্যাভেলস-এর কারখানাতের দেওয়ালেও আগুন ধরে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও সেই কারখানার কোনও ক্ষতি হয়নি। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ দগমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপর কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে কুলিং প্রসেস অর্থাৎ ওই কারখানার সর্বত্র ঠান্ডা করার কাজ। যাতে কোথাও আগুনের পকেট না থাকে বা আগুন কোনওভাবেই আশপাশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে।
।